।। সাংখ্য 10 ।। (প্রাক-শেষ পর্ব )
যার দ্বারা অর্থের (meaning ) বোধ হয় তাকে প্রত্যয় বলে। এর বিপরীত অবস্থা হল বিপর্য্যয় । বিপর্যয় আবার পাঁচ প্রকার -
অবিদ্যা(ভ্রমসংস্কার, একটি বিষয়কে অন্য একটি বলে জানা), অস্মিতা(অহংভাব), রাগ (attachment), দ্বেষ ও অভিনিবেশ।
সকল অনর্থের মূলভিত্তি হল বিপর্য্যয় ।
সাংখ্য ঈশ্বর বিষয়ে কথা না বললেও দেবতাদের কথা জানিয়েছে । বলেছে দেবতারা অষ্টবিধ ( অণিমা, লঘিমা ইত্যাদি ) ঐশ্বর্য লাভ করে 'অমরত্ব লাভ করেছি' এই মোহে আবদ্ধ হয়েছিল । অথচ তারা কেউ অমর নয় । ( এ কারণে ইন্দ্র, বরুণ, বিবস্বান, ত্বষ্টা ইত্যাদি দেবতারা বর্তমানে গল্প কথায় পর্যবসিত )।
সাংখ্য এও মনে করে দেবগণ মনুষ্য অপেক্ষা উন্নত জীব। তারা অমর নন । কর্ম দ্বারা মনুষ্যও দেবত্ব লাভ করতে পারে ।
[ দেব-মানব-অসুর, এনারা যে প্রাচীন ভারতের মানুষেরই বিভিন্ন সম্প্রদায় একথা 'আর্য দিগন্তে সিন্ধু সভ্যতা' পুস্তকে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।]
সাংখ্য চতুর্বর্ণ কে জন্মগত বলে স্বীকার করে না ।
'গুণ কর্ম বিভাগশঃ '
ত্রিগুণের ভেদেই বর্ণ বিভাগ হয়েছে । সত্ত্ব গুণের আধিক্যে ব্রাহ্মণ, রজোগুণে ক্ষত্রিয় ইত্যাদি । কর্ম দ্বারা পুরাকালে বর্ণ পরিবর্তন হত । বিশ্বামিত্র ক্ষত্রিয় থেকে ব্রাহ্মণে পরিণত হন ।
গাভী একই তৃণাদি আহার করলেও কেবল বাছুর প্রসব করার পর দুগ্ধ উৎপাদন শুরু করে । বাছুর প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সে উৎপাদন বন্ধ হয় ।
প্রকৃতির সাথে পুরুষের সম্পর্কও ঠিক এই প্রকার । পুরুষ প্রকৃতিতে attached থাকাকালীন প্রকৃতি পুরুষের সুখ-দুঃখ ভোগাদির যোগান দেয় । পুরুষ detached বা বৈরাগ্য প্রাপ্ত হতে থাকলেই প্রকৃতিও যোগান বন্ধ করতে থাকে ।
--- পর পর্বে সমাপ্ত ।
যার দ্বারা অর্থের (meaning ) বোধ হয় তাকে প্রত্যয় বলে। এর বিপরীত অবস্থা হল বিপর্য্যয় । বিপর্যয় আবার পাঁচ প্রকার -
অবিদ্যা(ভ্রমসংস্কার, একটি বিষয়কে অন্য একটি বলে জানা), অস্মিতা(অহংভাব), রাগ (attachment), দ্বেষ ও অভিনিবেশ।
সকল অনর্থের মূলভিত্তি হল বিপর্য্যয় ।
সাংখ্য ঈশ্বর বিষয়ে কথা না বললেও দেবতাদের কথা জানিয়েছে । বলেছে দেবতারা অষ্টবিধ ( অণিমা, লঘিমা ইত্যাদি ) ঐশ্বর্য লাভ করে 'অমরত্ব লাভ করেছি' এই মোহে আবদ্ধ হয়েছিল । অথচ তারা কেউ অমর নয় । ( এ কারণে ইন্দ্র, বরুণ, বিবস্বান, ত্বষ্টা ইত্যাদি দেবতারা বর্তমানে গল্প কথায় পর্যবসিত )।
সাংখ্য এও মনে করে দেবগণ মনুষ্য অপেক্ষা উন্নত জীব। তারা অমর নন । কর্ম দ্বারা মনুষ্যও দেবত্ব লাভ করতে পারে ।
[ দেব-মানব-অসুর, এনারা যে প্রাচীন ভারতের মানুষেরই বিভিন্ন সম্প্রদায় একথা 'আর্য দিগন্তে সিন্ধু সভ্যতা' পুস্তকে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।]
সাংখ্য চতুর্বর্ণ কে জন্মগত বলে স্বীকার করে না ।
'গুণ কর্ম বিভাগশঃ '
ত্রিগুণের ভেদেই বর্ণ বিভাগ হয়েছে । সত্ত্ব গুণের আধিক্যে ব্রাহ্মণ, রজোগুণে ক্ষত্রিয় ইত্যাদি । কর্ম দ্বারা পুরাকালে বর্ণ পরিবর্তন হত । বিশ্বামিত্র ক্ষত্রিয় থেকে ব্রাহ্মণে পরিণত হন ।
গাভী একই তৃণাদি আহার করলেও কেবল বাছুর প্রসব করার পর দুগ্ধ উৎপাদন শুরু করে । বাছুর প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সে উৎপাদন বন্ধ হয় ।
প্রকৃতির সাথে পুরুষের সম্পর্কও ঠিক এই প্রকার । পুরুষ প্রকৃতিতে attached থাকাকালীন প্রকৃতি পুরুষের সুখ-দুঃখ ভোগাদির যোগান দেয় । পুরুষ detached বা বৈরাগ্য প্রাপ্ত হতে থাকলেই প্রকৃতিও যোগান বন্ধ করতে থাকে ।
--- পর পর্বে সমাপ্ত ।
comments করা যাচ্ছে ।
ReplyDeletecomments করা যাচ্ছে ।
ReplyDelete