সাংখ্য দর্শন 13 এবং বৌদ্ধ দুঃখ - নিবৃত্তি
( সাংখ্য কারিকা ই সাংখ্যের মূল গ্রন্থ । কপিল প্রণীত মূল সূত্র পাওয়া যায় না । তত্ত্ব সমাস নামক কিছু সূত্র আছে যা পরবর্তীতে রচিত । কপিল শিষ্য অসুর, তার শিষ্য পঞ্চশিখ, এবং তার শিষ্য ঈশ্বর কৃষ্ণ । ঈশ্বর কৃষ্ণ কারিকা -র রচয়িতা । বাচস্পতি মিশ্র পরবর্তী কালে এর টীকাকার। আমরা তার টীকাকে প্রামাণ্য ধরে আলোচনা করছি । এর বঙ্গানুবাদ পূর্ণচন্দ্র বেদান্তচুঞ্চু সাংখ্য ভূষণ সাহিত্যাচার্য মহাশয়ের । যেমন বোধ হচ্ছে তেমনই আলোচনা চলছে । ব্যাখ্যার কোথাও ভ্রান্তি থাকলে দায় সম্পূর্ণ আমার ।)
সাংখ্য ও বৌদ্ধ দর্শন কোথাও ই ঈশ্বর নিয়ে আলোচনা করা হয় নি । এর অর্থ এ নয় যে চার্বাকের মতন ঈশ্বর এ অবিশ্বাস রয়েছে । আসলে উভয় ক্ষেত্রেই তারা 'ঋত' বা system কে ধরার চেষ্টা করেছে । কি ভাবে system operate করে বুঝতে চেয়েছে এবং তাদের মতন উত্তর পেয়ে অন্য জিজ্ঞাসুদের জানিয়েছে ।
যদি এভাবে বোঝার চেষ্টা করি, এই যে Samsung mobile set এ Android প্রযুক্তির সাহায্যে সময় পেলেই এটা ওটা লিখছি, ছবি post করছি, আবার phone করছি বা mail করছি, সবগুলোই করছি এই system কে operate করতে জেনে । আবার কতো Apps আছে তার ব্যবহার জানি না, তবে যারা জানে তাদের থেকে শিখে নিলেই আবার সেগুলোও পারব। এখন প্রশ্ন হল, এসব কাজ করার জন্য আমার কি Samsung বা Microsoft company-র মালিকদের সাথে পরিচয় থাকা জরুরি ? পরিচয় থাকলে তো ভালোই হয় । তবে না থাকলেও তো operate করা সম্ভব ।
এই আলোকে যদি জগৎ সংসার কে দেখি তো বুঝতে পারব নানা programing সহ এই মানব দেহ আমাদের বিশাল এক Android Set । আমরা নিজে অথবা জ্ঞানী মানুষের (গুরু) থেকে শিখে যদি Apps গুলো operate করতে পারি তো কতো দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে । নানান দেবতা বা পরম ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হতে পারলে তো কথাই নেই, নাও যদি হয় set operate করতে কোন অসুবিধা নেই । ঈশ্বর বা প্রকৃতি অনন্ত সম্ভাবনাময় জন্মগত set দিয়ে আমাদের পাঠিয়েছে । আমরা শুধু games খেলেই খুশি রইলাম না তো ?
যাহোক, সাংখ্য বা বৌদ্ধ দর্শন উপনিষদের মতো জগৎ সংসারের রহস্য জানতে চায় নি । দৈনন্দিন জীবনে মানুষের সমস্যা গুলোকে মেটাতে চেয়েছে । তারা অনুভব করেছে মানুষের জীবন দুঃখময় । তারা এই সত্যে এসে পৌঁছেছে যে
- দুঃখ আছে
- দুঃখের কারণ আছে
- দুঃখের নিবৃত্তি সম্ভব
- দুঃখ নিবৃত্তির পথ আছে ।
এই চারটিই তো মূল কথা । আমরা সাধারণ মানুষ তো এই চাই ।
সাংখ্য জগতকে তিন ভাগে ভাগ করেছে ।
1) আমি বা আত্ম
2) ভূত বা পঞ্চভূতের দ্বারা সৃষ্ট জগৎ
3) দেবসৃষ্ট জগৎ যথা অতীন্দ্রিয় জগৎ ।
এই তিন জগৎকে নিয়ে যে সকল দুঃখ তা-ও তাই তিন প্রকার ।
1) আধ্যাত্মিক
2) আধিভৌতিক ও
3) আধিদৈবিক ।
এই তিন প্রকার দুঃখ নিবারণের সহজ পদ্ধতি আছে । যেমন
1) আত্ম গত কারণে দুঃখ হলে, শরীর খারাপ হলে ঔষধ এবং মন খারাপ হলে মনোরঞ্জনের উপায় আছে ।
2) আধিভৌতিক বা আধিদৈবিক কারণ ঠেকাতে মণিরত্ন বা মন্ত্রাদি নানা পূজার বিধি আছে ।
কিন্ত সাংখ্য বলছে এই দুঃখের নিবৃত্তি সাময়িক । পূনরায় এর আগমন ঘটে । তাই বৌদ্ধ বা সাংখ্য উভয়েরই মত হল দুঃখের কারণ জানতে হবে । তা জেনে যদি প্রতিকারের ব্যবস্থা হয় তবেই এর থেকে মুক্তি ।
এ যেন এরকম, "prevention is better than cure".
( পরম কারুণিক গৌতম বুদ্ধের জন্ম তিথিতে সহস্র প্রণাম । তার সহস্র করুণা বর্ষিত হোক )
ক্রমশঃ
সাংখ্য ও বৌদ্ধ দর্শন কোথাও ই ঈশ্বর নিয়ে আলোচনা করা হয় নি । এর অর্থ এ নয় যে চার্বাকের মতন ঈশ্বর এ অবিশ্বাস রয়েছে । আসলে উভয় ক্ষেত্রেই তারা 'ঋত' বা system কে ধরার চেষ্টা করেছে । কি ভাবে system operate করে বুঝতে চেয়েছে এবং তাদের মতন উত্তর পেয়ে অন্য জিজ্ঞাসুদের জানিয়েছে ।
যদি এভাবে বোঝার চেষ্টা করি, এই যে Samsung mobile set এ Android প্রযুক্তির সাহায্যে সময় পেলেই এটা ওটা লিখছি, ছবি post করছি, আবার phone করছি বা mail করছি, সবগুলোই করছি এই system কে operate করতে জেনে । আবার কতো Apps আছে তার ব্যবহার জানি না, তবে যারা জানে তাদের থেকে শিখে নিলেই আবার সেগুলোও পারব। এখন প্রশ্ন হল, এসব কাজ করার জন্য আমার কি Samsung বা Microsoft company-র মালিকদের সাথে পরিচয় থাকা জরুরি ? পরিচয় থাকলে তো ভালোই হয় । তবে না থাকলেও তো operate করা সম্ভব ।
এই আলোকে যদি জগৎ সংসার কে দেখি তো বুঝতে পারব নানা programing সহ এই মানব দেহ আমাদের বিশাল এক Android Set । আমরা নিজে অথবা জ্ঞানী মানুষের (গুরু) থেকে শিখে যদি Apps গুলো operate করতে পারি তো কতো দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে । নানান দেবতা বা পরম ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হতে পারলে তো কথাই নেই, নাও যদি হয় set operate করতে কোন অসুবিধা নেই । ঈশ্বর বা প্রকৃতি অনন্ত সম্ভাবনাময় জন্মগত set দিয়ে আমাদের পাঠিয়েছে । আমরা শুধু games খেলেই খুশি রইলাম না তো ?
যাহোক, সাংখ্য বা বৌদ্ধ দর্শন উপনিষদের মতো জগৎ সংসারের রহস্য জানতে চায় নি । দৈনন্দিন জীবনে মানুষের সমস্যা গুলোকে মেটাতে চেয়েছে । তারা অনুভব করেছে মানুষের জীবন দুঃখময় । তারা এই সত্যে এসে পৌঁছেছে যে
- দুঃখ আছে
- দুঃখের কারণ আছে
- দুঃখের নিবৃত্তি সম্ভব
- দুঃখ নিবৃত্তির পথ আছে ।
এই চারটিই তো মূল কথা । আমরা সাধারণ মানুষ তো এই চাই ।
সাংখ্য জগতকে তিন ভাগে ভাগ করেছে ।
1) আমি বা আত্ম
2) ভূত বা পঞ্চভূতের দ্বারা সৃষ্ট জগৎ
3) দেবসৃষ্ট জগৎ যথা অতীন্দ্রিয় জগৎ ।
এই তিন জগৎকে নিয়ে যে সকল দুঃখ তা-ও তাই তিন প্রকার ।
1) আধ্যাত্মিক
2) আধিভৌতিক ও
3) আধিদৈবিক ।
এই তিন প্রকার দুঃখ নিবারণের সহজ পদ্ধতি আছে । যেমন
1) আত্ম গত কারণে দুঃখ হলে, শরীর খারাপ হলে ঔষধ এবং মন খারাপ হলে মনোরঞ্জনের উপায় আছে ।
2) আধিভৌতিক বা আধিদৈবিক কারণ ঠেকাতে মণিরত্ন বা মন্ত্রাদি নানা পূজার বিধি আছে ।
কিন্ত সাংখ্য বলছে এই দুঃখের নিবৃত্তি সাময়িক । পূনরায় এর আগমন ঘটে । তাই বৌদ্ধ বা সাংখ্য উভয়েরই মত হল দুঃখের কারণ জানতে হবে । তা জেনে যদি প্রতিকারের ব্যবস্থা হয় তবেই এর থেকে মুক্তি ।
এ যেন এরকম, "prevention is better than cure".
( পরম কারুণিক গৌতম বুদ্ধের জন্ম তিথিতে সহস্র প্রণাম । তার সহস্র করুণা বর্ষিত হোক )
ক্রমশঃ
Comments
Post a Comment