উপনিষদ পর্ব 1

  ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে
  পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে ।
     ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ।।
(পূর্ণ হতে পূর্ণের সৃষ্টি । পূর্ণ থেকে পূর্ণ চলে গেলে পূর্ণ ই অবশিষ্ট থাকে )
  An wonderful riddle.  এক বন্ধুকে হঠাৎই একদিন জানিয়েছিলাম এই ধাঁধা। আজ জনসমক্ষে রাখছি । একটু সময় নিয়ে ভেবে দেখবেন,এই অনুরোধ করি । তার আগে একটু ব্যাখ্যা -
   ঈশাবাস্যোপনিষদ, যাকে সাধারণত সংক্ষেপে ঈশোপনিষদ বলা হয় , সেটি শুক্ল যজুর্বেদের কান্বশাখীয় সংহিতার 40 তম অধ্যায়। এর শুরুতে এটি পাওয়া যায় । বৃহদারন্যক - এ 5 ম  অধ্যায়েও এটি পাওয়া যায় ।
  আর একটু বিস্তারিত বললে বলা যায় যদিও বর্তমানে আমরা জানি বেদ চারটি কিন্ত আদিতে বেদ ত্রয়ী ।  অথর্ববেদ, যা প্রাচীন ভারতে মূলতঃ অসুর গোষ্ঠীর পূজ্য ছিল , সেটিকে না ধরে ঋক, সাম ও যজু,  এই তিনটি বেদই দেব-ব্রাহ্মণবাদীদের কাছে পূজ্য ছিল ।
    প্রতিটি বেদই আবার সংহিতা,  আরণ্যক, ব্রাহ্মণ ও উপনিষদ এই চার ভাগে ছিল বিভক্ত । সংহিতায় মূল উপাস্য মন্ত্র, ব্রাহ্মণ ও আরণ্যকে উপাসনা পদ্ধতি এবং উপনিষদ হল আধ্যাত্ম দর্শন ।
    গুরু -শিষ্য (বৈশম্পায়ন-যাজ্ঞবল্ক) বিরোধের ফলশ্রুতিতে যজুর্বেদ দুভাগে বিভক্ত হয় । কৃষ্ণ ও শুক্ল ।
  'অদঃ' অর্থে গীতা প্রেস বলল 'সেই পরব্রহ্ম ' এবং অন্যত্র দেখছি আমাদের বোধের বাইরের জগৎ। 'ইদং' হল আমাদের জগৎ। অর্থাৎ ' পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং' হল আমাদের বোধ আর বোধবহির্ভূত যে পূর্ণ জগৎ। বোধের বাইরের জগৎ হল চেতন বা বোধি বা চিন্ময় জগৎ । সব মিলিয়ে এই জগৎ হল পরম ব্রহ্ম । তিনি পূর্ণ । তার থেকে যা সৃষ্ট সেও পূর্ণ । তার থেকে তার সৃষ্টি বাদ দিলেও তিনি পূর্ণ ।
   যেমন শূন্য থেকে শূন্য বাদ দিলে শূন্য থাকে পড়ে ।
- ক্রমশঃ

Comments

Popular posts from this blog

কঠোপনিষদ ২০

মহাভারত শ্লোক