কঠোপনিষদ ১৫
সূত্র ১৮
'ন জায়তে ম্রিয়তে ...... ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে '
আত্মা জন্মায় না, মরে না। না এটি কারো থেকে উদ্ভূত হয়েছে, না এর থেকে কিছু হয়েছে। ইনি অজাত, নিত্য, শাশ্বতঃ। শরীরের নাশ হলেও, এর নাশ হয় না।
---- বহু চর্চিত এই শ্লোক। এর দ্বিতীয় লাইনটি গীতাতে হুবহু রয়েছে ( ২/২০)।
বহু আলোচিত এও আত্মার সংজ্ঞা নিয়ে আর বিশেষ কিছু বলার নেই।
১৯। যদি হত্যাকারী মনে করে হত্যা করলাম, নিহিত যদি মনে করে হত হলাম, তাহলে দুজনেই ভুল জানেন। এই আত্মা কাউকে মারেও না, কারো দ্বারা হতও হন না।
--- এই দুই শ্লোকে বলা হল, আত্মা আমাদের শরীরের থেকে পৃথক।
একই কথা গীতাতে বলা আছে,
' য এনং বেত্তি ......
......... ন হন্যতে ।'
এখানেও দ্বিতীয় লাইনটি গীতাতে হুবহু এক।
২০। সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর এবং মহত্ থেকে মহত্তর আত্মা সমস্ত প্রাণীর হৃদয়-গুহায় অবস্থিত। কামনারহিত এবং বীতশোক হলে আত্মার এই স্বরূপকে দর্শন করা যায়।
এখানে 'ধাতু প্রাসাদাত' = ধাতা বা ঈশ্বারের অনুগ্রহে।
২১। এই আত্মা বসে থেকেই দূরে যায়, শুয়ে থেকেই সর্বত্র যায়। যম বলছেন, তাদের মত জ্ঞানী ব্যক্তি ছাড়া একে কে জানতে পারে ?
-- আত্মা, পরমাত্মার অংশ। বিশ্বচৈতন্য শক্তির অংশ হল জীবাত্মার স্বরূপ চেতন শক্তি। তাই সমগ্র ব্রহ্মান্ড জুড়ে এর অবাধ সংযোগ বা connectivity। সেই চেতন-স্বরূপ আত্মা আমাদের চিত্ত-বৃত্তি দ্বারা আবৃত বা আচ্ছন্ন থাকে বলে আত্মার এই সর্বত্রগামী চরিত্র আমরা অনুধাবন করতে পারি না। কদাচিত্ কারো কারো sub-conscious mind -এ telepathy বা clairvoyance জাতীয় ঘটনার মাধ্যমে এর প্রকাশ ঘটে থাকে।
তাই বলা হল, আত্মা আমাদের এই শরীরের মধ্যে অবস্থান করেই বহু দূর দূর গমন করতে পারে।
'মদামদং' = মদ = হর্ষ ; অমদঃ= অহর্ষ
আত্মা সম্পর্কে বলা হল, এর হর্ষ বা আনন্দ-ও নেই; বিমর্ষতা-ও নেই।
-ক্রমশঃ
'ন জায়তে ম্রিয়তে ...... ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে '
আত্মা জন্মায় না, মরে না। না এটি কারো থেকে উদ্ভূত হয়েছে, না এর থেকে কিছু হয়েছে। ইনি অজাত, নিত্য, শাশ্বতঃ। শরীরের নাশ হলেও, এর নাশ হয় না।
---- বহু চর্চিত এই শ্লোক। এর দ্বিতীয় লাইনটি গীতাতে হুবহু রয়েছে ( ২/২০)।
বহু আলোচিত এও আত্মার সংজ্ঞা নিয়ে আর বিশেষ কিছু বলার নেই।
১৯। যদি হত্যাকারী মনে করে হত্যা করলাম, নিহিত যদি মনে করে হত হলাম, তাহলে দুজনেই ভুল জানেন। এই আত্মা কাউকে মারেও না, কারো দ্বারা হতও হন না।
--- এই দুই শ্লোকে বলা হল, আত্মা আমাদের শরীরের থেকে পৃথক।
একই কথা গীতাতে বলা আছে,
' য এনং বেত্তি ......
......... ন হন্যতে ।'
এখানেও দ্বিতীয় লাইনটি গীতাতে হুবহু এক।
২০। সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর এবং মহত্ থেকে মহত্তর আত্মা সমস্ত প্রাণীর হৃদয়-গুহায় অবস্থিত। কামনারহিত এবং বীতশোক হলে আত্মার এই স্বরূপকে দর্শন করা যায়।
এখানে 'ধাতু প্রাসাদাত' = ধাতা বা ঈশ্বারের অনুগ্রহে।
২১। এই আত্মা বসে থেকেই দূরে যায়, শুয়ে থেকেই সর্বত্র যায়। যম বলছেন, তাদের মত জ্ঞানী ব্যক্তি ছাড়া একে কে জানতে পারে ?
-- আত্মা, পরমাত্মার অংশ। বিশ্বচৈতন্য শক্তির অংশ হল জীবাত্মার স্বরূপ চেতন শক্তি। তাই সমগ্র ব্রহ্মান্ড জুড়ে এর অবাধ সংযোগ বা connectivity। সেই চেতন-স্বরূপ আত্মা আমাদের চিত্ত-বৃত্তি দ্বারা আবৃত বা আচ্ছন্ন থাকে বলে আত্মার এই সর্বত্রগামী চরিত্র আমরা অনুধাবন করতে পারি না। কদাচিত্ কারো কারো sub-conscious mind -এ telepathy বা clairvoyance জাতীয় ঘটনার মাধ্যমে এর প্রকাশ ঘটে থাকে।
তাই বলা হল, আত্মা আমাদের এই শরীরের মধ্যে অবস্থান করেই বহু দূর দূর গমন করতে পারে।
'মদামদং' = মদ = হর্ষ ; অমদঃ= অহর্ষ
আত্মা সম্পর্কে বলা হল, এর হর্ষ বা আনন্দ-ও নেই; বিমর্ষতা-ও নেই।
-ক্রমশঃ
Comments
Post a Comment