কঠোপনিষদ 16

সূত্র  22 - 25
 22। যমদেব জানালেন, অনিত্য ( বিনাশশীল ) শরীরে মহান নিত্য আত্মাকে সাক্ষাত করে ধীর ব্যক্তি শোকরহিত থাকেন ।
 -- ধীর ব্যক্তিই জ্ঞান লাভ করেন । ধীর ব্যক্তি ই বোঝেন এই শরীরই সব নয় । সে তাই পার্থিব বিষয়ের অনিত্য তা অনুভব করে ।
23। 'নায়মাত্মা প্রবচনেন লভ্যো ন মেধয়া ন বহুনা শ্রুতেন'
     যাকে তিনি জানান বা বিবৃত করেন, তার কাছেই এই আত্মা স্বীয় রূপ প্রকাশ করে ।
   তাকে প্রবচন শুনে জানা যাবে না, মেধা দিয়ে বোঝা যাবে না । এমনকি বারবার শুনেও অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
  এখানে এক সমস্যা এসে দাঁড়ালো । শুনে বা বুদ্ধি দিয়ে সেই আত্মা কে বোঝা যাবে না । তাহলে  পরমাত্মার দয়ার ওপর নির্ভর করে থাকতে হবে ? আবার পরমাত্মা abruptly যার কাছে খুশি ধরা দেবেন  ? এরকম কি হয়  ?
     এর উত্তর তৃতীয় বল্লীতে আছে । সুকৃতির ফলে পাওয়া যাবে ।
24। যম বলে চলেছেন, দুষ্কর্ম থেকে বিরত না হলে পাওয়া যাবে না । অশান্ত ব্যক্তি, অসমাহিত ব্যক্তির এই প্রজ্ঞা হয় না । মন শান্ত না হলেও লাভ হবে না ।
25। খানিকটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, ব্রাহ্মণ হোক বা ক্ষত্রিয়, সকলের মৃত্যুই যার ভক্ষ্য, তাকে কে জানতে পারে  ?
    নিজের করা প্রশ্নের উত্তর নিজেই বলবেন এরপর ।

দ্বিতীয় বল্লী সমাপ্ত ।
- ক্রমশ

Comments

Popular posts from this blog

কঠোপনিষদ ২০

উপনিষদ পর্ব 1

মহাভারত শ্লোক