কঠোপনিষদ ১৪
সূত্র ১৫ -
১৫। যম বললেন, সকল বেদ যে পরম পদের কথা বলে, সকল তপস্যা যার কথা বলে, যার কারনে (যে পদ লাভের ইচ্ছায়) ব্রহ্মচর্য পালন করা হয়, সেই পদের কথা বলছি। সেটি হল ওঁ ।
--- একটু পরেই যম, ওঁ তথা অক্ষর তত্ত্বের কথা বলবেন।
ওঁ-কে দুভাবে বিচার করা হয়।
১। ওঁ -ই হল ব্রহ্ম । এবং/অথবা
২। ওঁ হল ব্রহ্মের প্রতীক । যেমন শালগ্রামশিলা বিষ্ণুর প্রতীক।
যে ব্রহ্মচর্য পালনের কথা বলা হল, তার আবার তিনটি অর্থ -
১। ইন্দ্রিয় সংযম। এর ব্যাখ্যা করার বিশেষ প্রয়োজন নেই।
২। গুরুগৃহে শিক্ষার্থে বাস। চতুরাশ্রমের প্রথম টি হল ব্রহ্মচর্য। ব্রহ্মজ্ঞান লাভের পথে গুরু দিশা দেবেন - এই কারনেই এর এমন নাম।
৩। ব্রহ্মে বিচরণ করা। ব্যাকরণগতভাবে এটাই প্রকৃত অর্থ।
প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মচর্য পালন করার অর্থ হল 'ব্রহ্মে বিচরণ করা'। ব্রহ্মে যিনি বচরণ করেন বা বিচরণ করার প্রয়াস করেন তার পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার এমনিই কমে যায়। ব্রহ্মচারী মানে যিনি পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে একমুখী করে পরম ব্রহ্মের চিন্তায় কাল অতিবাহিত করবেন বা করার প্রচেষ্টায় রত থাকবেন। আমরা পরবর্তীকালে 'ব্রহ্মচারী' শব্দটির মানে 'বিবাহ বা যৌনতাহীন' মানুষ -এই অর্থে ব্যবহার করেছি। ভাষাতত্ত্বের বিচারে এখানে শব্দটির 'অর্থ সংকোচ' ঘটেছে।
একই রকমভাবে আমরা 'উপবাস' কথাটির মানে করে নিয়েছি 'অনশন' বা না খেয়ে থাকা। আসলে 'উপবাস' কথাটির অর্থ 'নিকটে বাস'। সাধকের সাধনার ঐ সময়ে পম ব্রহ্ম বা তার তার ইষ্টের নিকটে বাস করার কথা। সে তার ইষ্ট উপাসনায় এতোটাই ব্যস্ত যে খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত করছে না সেই সময়ে। খাদ্য গ্রহণ, তার পরিপাক ইত্যাদি কর্ম থেকে সে তার দেহকে বিরত রেখেছে।
১৬-১৭। বলা হল এই অক্ষরই হল ব্রহ্ম। এটিই পরম। এটিকে যথাযথভাবে জেনে নিলেই, সাধকের সিদ্ধিলাভ হয়।
--- পতঞ্জলি সূত্রানুসারে 'তস্য বাচকঃ প্রণবঃ' -এই সূত্রানুসারে ওঁ ঈস্বরের বাচক। একে জেনে নিলে ব্রহ্মলোকে বিচরণ হয়।
১৫। যম বললেন, সকল বেদ যে পরম পদের কথা বলে, সকল তপস্যা যার কথা বলে, যার কারনে (যে পদ লাভের ইচ্ছায়) ব্রহ্মচর্য পালন করা হয়, সেই পদের কথা বলছি। সেটি হল ওঁ ।
--- একটু পরেই যম, ওঁ তথা অক্ষর তত্ত্বের কথা বলবেন।
ওঁ-কে দুভাবে বিচার করা হয়।
১। ওঁ -ই হল ব্রহ্ম । এবং/অথবা
২। ওঁ হল ব্রহ্মের প্রতীক । যেমন শালগ্রামশিলা বিষ্ণুর প্রতীক।
যে ব্রহ্মচর্য পালনের কথা বলা হল, তার আবার তিনটি অর্থ -
১। ইন্দ্রিয় সংযম। এর ব্যাখ্যা করার বিশেষ প্রয়োজন নেই।
২। গুরুগৃহে শিক্ষার্থে বাস। চতুরাশ্রমের প্রথম টি হল ব্রহ্মচর্য। ব্রহ্মজ্ঞান লাভের পথে গুরু দিশা দেবেন - এই কারনেই এর এমন নাম।
৩। ব্রহ্মে বিচরণ করা। ব্যাকরণগতভাবে এটাই প্রকৃত অর্থ।
প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মচর্য পালন করার অর্থ হল 'ব্রহ্মে বিচরণ করা'। ব্রহ্মে যিনি বচরণ করেন বা বিচরণ করার প্রয়াস করেন তার পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার এমনিই কমে যায়। ব্রহ্মচারী মানে যিনি পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে একমুখী করে পরম ব্রহ্মের চিন্তায় কাল অতিবাহিত করবেন বা করার প্রচেষ্টায় রত থাকবেন। আমরা পরবর্তীকালে 'ব্রহ্মচারী' শব্দটির মানে 'বিবাহ বা যৌনতাহীন' মানুষ -এই অর্থে ব্যবহার করেছি। ভাষাতত্ত্বের বিচারে এখানে শব্দটির 'অর্থ সংকোচ' ঘটেছে।
একই রকমভাবে আমরা 'উপবাস' কথাটির মানে করে নিয়েছি 'অনশন' বা না খেয়ে থাকা। আসলে 'উপবাস' কথাটির অর্থ 'নিকটে বাস'। সাধকের সাধনার ঐ সময়ে পম ব্রহ্ম বা তার তার ইষ্টের নিকটে বাস করার কথা। সে তার ইষ্ট উপাসনায় এতোটাই ব্যস্ত যে খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত করছে না সেই সময়ে। খাদ্য গ্রহণ, তার পরিপাক ইত্যাদি কর্ম থেকে সে তার দেহকে বিরত রেখেছে।
১৬-১৭। বলা হল এই অক্ষরই হল ব্রহ্ম। এটিই পরম। এটিকে যথাযথভাবে জেনে নিলেই, সাধকের সিদ্ধিলাভ হয়।
--- পতঞ্জলি সূত্রানুসারে 'তস্য বাচকঃ প্রণবঃ' -এই সূত্রানুসারে ওঁ ঈস্বরের বাচক। একে জেনে নিলে ব্রহ্মলোকে বিচরণ হয়।
Comments
Post a Comment