কঠোপনিষদ ১০
সূত্র ১/২/২-৪
২। যমদেব বলে চললেন, শ্রেয় এবং প্রেয় দুই-ই মানুষের সামনে আসে। ধীর ব্যক্তি বিচারপূর্বক প্রেয় অপেক্ষা শ্রেয়কে শ্রেষ্ঠ মনে করে বরণ করে নেয়।
মন্দবুদ্ধির ব্যক্তি 'যোগক্ষেমাত্ ( অপ্রাপ্ত বস্তুর প্রাপ্তি-কে এক অর্থে যোগ বলে এবং প্রাপ্তবস্তুর রক্ষাকে ক্ষেম বলে)' প্রেয়কে বরণ করে নেয়।
--- যার বুদ্ধি ধীর নয় সে নিজ পরিশ্রম ছাড়া বা অল্প পরিশ্রমে যা লাভ করে তার পেছনে বিগত জন্মের কর্ম রয়েছে সেটি অনুধাবন করতে পারে না। ফলে এটি তার প্রাপ্য বলেই ধরে নায়। কর্মের ফল যতটুকু তার পরেই যে এ সব প্রাপ্তির অবসান ঘটবে সেটিও তারা বুঝতে পারে না। ফলে সেই প্রাপ্তিকে রক্ষা করার জন্য পরিশ্রম করে।
ধীর বা জ্ঞানী এই প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যা কল্যাণকর পথ সেটাকেই গ্রহণ করে নিয়ে এগিয়ে যায়।
৩। যমদেব প্রশংসাপূর্বক বললেন, যে সকল কামনাতে বহুমানুষ মযে যায়, নচিকেতা বিচারপুর্বক সেসব গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে।
--- এ কারনেই নচিকেতা আত্মজ্ঞান লাভের অধিকারী।
৪ । সাধনা বা চর্চা দু প্রকার। বিদ্যা ও অবিদ্যা। অবিদ্যা ভোগ-তৃষার দিকে নিয়ে যায়। বিদ্যা নিয়ে যায় কল্যান বা শ্রেয়-র পথে। যম নচিকেতাকে বিদ্যাভিলাসী মনে করেন।
--- বিদ্যা দুপ্রকার। পরা এবং অপরা । যে জ্ঞান তাকে বা পরম সত্যকে জানার পথে নিয়ে যায় সেটি হল পরাবিদ্যা। বাদবাকি সকল জ্ঞান চর্চা-ই হল অপরা বিদ্যা। ছবি আঁকা, ভূ-বিদ্যা, উদ্যানচর্চা ইত্যাদি বিদ্যা হল অপরা বিদ্যা।
সাধনা বা চর্চা-র আর একটি হল অবিদ্যা। আমরা সঠিক প্ররযালোচনা করলে দেখতে পাবো ঈশ্বরের নাম নিয়ে যা সাধন-ভজন বা প্রার্থনা করা হয়, তার সিঙ্ঘভাগই হল আমাদের কামনা বাসনা পূরনের লক্ষ্যে। আমাদের প্রার্থনাগুলো সাধারনত এরকমের থাকে,
-- রোগ-শোক থেকে মুক্তি
-- শারীরিক সুস্থতা
-- চাকরী/ ব্যবসায়
-- অর্থ/ গাড়ি/বাড়ি
-- সামাজিক প্রতিপত্তি ইত্যাদি
যত বাজার চলতি কাপালিক-তান্ত্রিকের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই, তাতে এসব পার্থিব স্বপ্নপূরনের কথা বলা থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের কামনা পূরনও হয়। কোনও কোনও তান্ত্রিক-কাপালিকেরা তাদের তাদের সাধনায় সিদ্ধও থাকেন। এই সাধন হল অবিদ্যার সাধন, প্রবৃত্তি পূরনের সাধন। তন্ত্রের বীরাচার সাধনার পরবর্তী স্তরে যিনি পৌছেছেন তিনি আর এসব পার্থিব বিষয়ে নিজেকে যুক্ত রাখেন না।
অবিদ্যা হল বন্ধনের পথ। বিদ্যা মুক্তির পথ। এর মধ্যে পরা-বিধ্যা হল সত্যকে জানার পথ। এ পথে ধীর ব্যক্তি ক্রমশই মোক্ষের দিকে এগিয়ে চলে।
- ক্রমশঃ
২। যমদেব বলে চললেন, শ্রেয় এবং প্রেয় দুই-ই মানুষের সামনে আসে। ধীর ব্যক্তি বিচারপূর্বক প্রেয় অপেক্ষা শ্রেয়কে শ্রেষ্ঠ মনে করে বরণ করে নেয়।
মন্দবুদ্ধির ব্যক্তি 'যোগক্ষেমাত্ ( অপ্রাপ্ত বস্তুর প্রাপ্তি-কে এক অর্থে যোগ বলে এবং প্রাপ্তবস্তুর রক্ষাকে ক্ষেম বলে)' প্রেয়কে বরণ করে নেয়।
--- যার বুদ্ধি ধীর নয় সে নিজ পরিশ্রম ছাড়া বা অল্প পরিশ্রমে যা লাভ করে তার পেছনে বিগত জন্মের কর্ম রয়েছে সেটি অনুধাবন করতে পারে না। ফলে এটি তার প্রাপ্য বলেই ধরে নায়। কর্মের ফল যতটুকু তার পরেই যে এ সব প্রাপ্তির অবসান ঘটবে সেটিও তারা বুঝতে পারে না। ফলে সেই প্রাপ্তিকে রক্ষা করার জন্য পরিশ্রম করে।
ধীর বা জ্ঞানী এই প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যা কল্যাণকর পথ সেটাকেই গ্রহণ করে নিয়ে এগিয়ে যায়।
৩। যমদেব প্রশংসাপূর্বক বললেন, যে সকল কামনাতে বহুমানুষ মযে যায়, নচিকেতা বিচারপুর্বক সেসব গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে।
--- এ কারনেই নচিকেতা আত্মজ্ঞান লাভের অধিকারী।
৪ । সাধনা বা চর্চা দু প্রকার। বিদ্যা ও অবিদ্যা। অবিদ্যা ভোগ-তৃষার দিকে নিয়ে যায়। বিদ্যা নিয়ে যায় কল্যান বা শ্রেয়-র পথে। যম নচিকেতাকে বিদ্যাভিলাসী মনে করেন।
--- বিদ্যা দুপ্রকার। পরা এবং অপরা । যে জ্ঞান তাকে বা পরম সত্যকে জানার পথে নিয়ে যায় সেটি হল পরাবিদ্যা। বাদবাকি সকল জ্ঞান চর্চা-ই হল অপরা বিদ্যা। ছবি আঁকা, ভূ-বিদ্যা, উদ্যানচর্চা ইত্যাদি বিদ্যা হল অপরা বিদ্যা।
সাধনা বা চর্চা-র আর একটি হল অবিদ্যা। আমরা সঠিক প্ররযালোচনা করলে দেখতে পাবো ঈশ্বরের নাম নিয়ে যা সাধন-ভজন বা প্রার্থনা করা হয়, তার সিঙ্ঘভাগই হল আমাদের কামনা বাসনা পূরনের লক্ষ্যে। আমাদের প্রার্থনাগুলো সাধারনত এরকমের থাকে,
-- রোগ-শোক থেকে মুক্তি
-- শারীরিক সুস্থতা
-- চাকরী/ ব্যবসায়
-- অর্থ/ গাড়ি/বাড়ি
-- সামাজিক প্রতিপত্তি ইত্যাদি
যত বাজার চলতি কাপালিক-তান্ত্রিকের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই, তাতে এসব পার্থিব স্বপ্নপূরনের কথা বলা থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের কামনা পূরনও হয়। কোনও কোনও তান্ত্রিক-কাপালিকেরা তাদের তাদের সাধনায় সিদ্ধও থাকেন। এই সাধন হল অবিদ্যার সাধন, প্রবৃত্তি পূরনের সাধন। তন্ত্রের বীরাচার সাধনার পরবর্তী স্তরে যিনি পৌছেছেন তিনি আর এসব পার্থিব বিষয়ে নিজেকে যুক্ত রাখেন না।
অবিদ্যা হল বন্ধনের পথ। বিদ্যা মুক্তির পথ। এর মধ্যে পরা-বিধ্যা হল সত্যকে জানার পথ। এ পথে ধীর ব্যক্তি ক্রমশই মোক্ষের দিকে এগিয়ে চলে।
- ক্রমশঃ
Comments
Post a Comment