কঠোপনিষদ 8
সূত্র --29
নচিকেতার এহেন বর প্রার্থনায় যমদেব প্রথমে রাজি হলেন না । তিনি বিনিময়ে সকল পার্থিব সুখ দিতে চাইলেন । যম একে একে offer করলেন -
1 । শতায়ু
2 । পুত্র - পৌত্র
3 । প্রচুর গবাদি পশু
4 । স্বর্ণ - হাতি
5 । অশ্ব
6 । বিস্তীর্ণ ভূমি
7 । সুসজ্জিত রথ
8 । অপ্সরা
এই যে list এর প্রথম দুটি বাদ দিয়ে সবই একজন রাজা দিতে পারেন । প্রাচীন কালে নৃপতিরাই এসব দিতেন । যমরাজ যমলোকের রাজা। তাই এসব সম্পদ তার আছে এবং আশ্রিতকে দান করতে পারেন ।
শতায়ু প্রসঙ্গে বলা যায় প্রায় সকলেই সে যুগে দীর্ঘজীবী । অসময়ে অপঘাত মৃত্যু বিরল ঘটনা । ক্ষত্রিয়রা যুদ্ধ-বিগ্রহে হত হলেও ব্রাহ্মণরা অবধ্য। যমলোকে তথা মৃত্যুলোকে এসে পড়লে অপঘাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে । এক্ষেত্রে স্বয়ং যমরাজ অভয় দিচ্ছেন। এবং 'ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা' না থাকলে পুত্র -পৌত্র হওয়াই স্বাভাবিক ।
কিন্তু নচিকেতা এসব নিতে অস্বীকার করলেন ।
নচিকেতা জানালেন, তিনি এসব চান না। তার কারন স্বরূপ বললেন [ ২৬ -২৯];
১। জীবনকাল সংক্ষিপ্ত ।
২। এসব ভোগ্য পদার্থ মানুষের ইন্দ্রিয়ের তেজকে হ্রাস করে।
৩। সম্পত্তি মানুষকে তৃপ্ত করতে পারে না।
৪। জরা-মরনশীল মানুষ দেবতাদের সাক্ষাত্ লাভের পর আত্মজ্ঞানের সুযোগ ছেড়ে পার্থিব বস্তু চাওয়াটা সমর্থনযোগ্য নয়।
ফলে, নচিকেতা পার্থিব সুখ নয়, যমদেবের কাছ থেকে পরম ব্রহ্ম লাভের উপায়স্বরূপ আত্মজ্ঞান লাভ করতে চান। এটিই তার তৃতীয় বর প্রার্থনা।
বহুজন্মের সংস্কার এবং অগ্নিবিদ্যা উপাসনা করার পর, নচিকেতা পার্থিব সুখের অসারতা উপলব্ধি করেছেন। পুর্ব-সংস্কার তার ছিলই। তাই অতি সহজেই তিনি অগ্নিবিদ্যা অর্জন করেছেন। তার এই কীর্তিতে যমদেব-ও আশ্চর্য হয়ে অগ্নিবিদ্যাকে 'নাচিকেত' আখ্যা দিয়েছেন। এখন অন্যান্য প্রলোভনেও নচিকেতা আকৃষ্ট হলেন না দেখে যমদেব বুঝতে পারলেন যে যথার্থই নচিকেতা যোগ্য ব্যক্তি।
এবার যমদেব তার তৃতীয় বর প্রদানে উদ্দত হলেন।
- প্রথম অধ্যায়, প্রথম বল্লী সমাপ্ত।
- ক্রমশঃ
নচিকেতার এহেন বর প্রার্থনায় যমদেব প্রথমে রাজি হলেন না । তিনি বিনিময়ে সকল পার্থিব সুখ দিতে চাইলেন । যম একে একে offer করলেন -
1 । শতায়ু
2 । পুত্র - পৌত্র
3 । প্রচুর গবাদি পশু
4 । স্বর্ণ - হাতি
5 । অশ্ব
6 । বিস্তীর্ণ ভূমি
7 । সুসজ্জিত রথ
8 । অপ্সরা
এই যে list এর প্রথম দুটি বাদ দিয়ে সবই একজন রাজা দিতে পারেন । প্রাচীন কালে নৃপতিরাই এসব দিতেন । যমরাজ যমলোকের রাজা। তাই এসব সম্পদ তার আছে এবং আশ্রিতকে দান করতে পারেন ।
শতায়ু প্রসঙ্গে বলা যায় প্রায় সকলেই সে যুগে দীর্ঘজীবী । অসময়ে অপঘাত মৃত্যু বিরল ঘটনা । ক্ষত্রিয়রা যুদ্ধ-বিগ্রহে হত হলেও ব্রাহ্মণরা অবধ্য। যমলোকে তথা মৃত্যুলোকে এসে পড়লে অপঘাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে । এক্ষেত্রে স্বয়ং যমরাজ অভয় দিচ্ছেন। এবং 'ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা' না থাকলে পুত্র -পৌত্র হওয়াই স্বাভাবিক ।
কিন্তু নচিকেতা এসব নিতে অস্বীকার করলেন ।
নচিকেতা জানালেন, তিনি এসব চান না। তার কারন স্বরূপ বললেন [ ২৬ -২৯];
১। জীবনকাল সংক্ষিপ্ত ।
২। এসব ভোগ্য পদার্থ মানুষের ইন্দ্রিয়ের তেজকে হ্রাস করে।
৩। সম্পত্তি মানুষকে তৃপ্ত করতে পারে না।
৪। জরা-মরনশীল মানুষ দেবতাদের সাক্ষাত্ লাভের পর আত্মজ্ঞানের সুযোগ ছেড়ে পার্থিব বস্তু চাওয়াটা সমর্থনযোগ্য নয়।
ফলে, নচিকেতা পার্থিব সুখ নয়, যমদেবের কাছ থেকে পরম ব্রহ্ম লাভের উপায়স্বরূপ আত্মজ্ঞান লাভ করতে চান। এটিই তার তৃতীয় বর প্রার্থনা।
বহুজন্মের সংস্কার এবং অগ্নিবিদ্যা উপাসনা করার পর, নচিকেতা পার্থিব সুখের অসারতা উপলব্ধি করেছেন। পুর্ব-সংস্কার তার ছিলই। তাই অতি সহজেই তিনি অগ্নিবিদ্যা অর্জন করেছেন। তার এই কীর্তিতে যমদেব-ও আশ্চর্য হয়ে অগ্নিবিদ্যাকে 'নাচিকেত' আখ্যা দিয়েছেন। এখন অন্যান্য প্রলোভনেও নচিকেতা আকৃষ্ট হলেন না দেখে যমদেব বুঝতে পারলেন যে যথার্থই নচিকেতা যোগ্য ব্যক্তি।
এবার যমদেব তার তৃতীয় বর প্রদানে উদ্দত হলেন।
- প্রথম অধ্যায়, প্রথম বল্লী সমাপ্ত।
- ক্রমশঃ
Comments
Post a Comment