কঠোপনিষদ 5
সূত্র - 10 - 13
'শান্তসংকল্পঃ / যথা / স্বর্গে লোকে / স ত্বমগ্নি '
নচিকেতা প্রথম বর চাইলেন, তার পিতা যেন তার বিষয়ে দুশ্চিন্তাহীন এবং তার প্রতি প্রসন্নমনা ও ক্রোধরহিত থাকেন ( এভাবে চলে আসাতে )। এবং এখান থেকে পিতৃগৃহে ফিরে যাবার পর পিতা যেন পূর্বের মতোই ব্যবহার করেন ( কথা বলেন )।
এ অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রার্থনা । যে পথে যেতে গিয়ে যুধিষ্ঠির ছাড়া দ্রৌপদীসহ বাকি চার পান্ডব মারা যান, সে পথ অবশ্যই দুর্গম । হঠাৎই চলে আসায় পিতার দুশ্চিন্তা হবেই । আর দুশ্চিন্তা মুক্ত হলে আসবে অভিমান ও ক্রোধ । যে বাড়িতে ডাকাবুকো ছেলে থাকে, তারা এই emotion টি বুঝতে পারবেন ।
নচিকেতা বালক হলেও দায়িত্ববোধ সম্পন্ন ও চিন্তাশীল । পিতার কথা যে মনের কথা ছিল না সে সেটা জানে। তবে পিতার কথাকে positively নিয়ে সে জীবন ঝুঁকি নিয়ে যমলোকে চলে এসেছে । এর আগে বিশ্বজিৎ যজ্ঞে পিতা সর্বস্ব দানের নামে রোগা-ভোগা ও মৃতপ্রায় গবাদি পশু দান দেখে সে হতাশ হয়েছিল । পিতার সংকীর্ণতা তাকে আহত করেছিল । এই পিতার কাছে প্রকৃত ব্রহ্মজ্ঞান লাভ সম্ভব নয়, সেটাও বোধকরি বুঝেছিল । পিতা যে অসূয়াহীন নয় এবং বাড়ি ফেরার পর যে বেশ ঝামেলা হতে পারে সেটাও সে জানে ।
যম দায়িত্ব নিলেন । বললেন, তুমি যখন ফিরে যাবে তোমার পিতা ক্রোধরহিত থাকবেন ।
এই ফিরে যাওয়াটা একটু বুঝে নিই । আমাদের প্রচলিত ধারণা নচিকেতা মৃত অবস্থা থেকে পুনরায় জীবিত হয়ে ফিরে আসে । যম কিন্তু বলছেন, ' মৃত্যু মুখাৎ প্রমুক্তম্' । অর্থাৎ মৃত্যু মুখ থেকে মুক্ত হয়ে যখন ফিরে যাবে । যমলোকে যাওয়া এবং সুস্থ হয়ে ফিরে আসাটা মৃত্যুমুখ থেকে ফেরাই বটে ।
মহাভারতের পান্ডু-লোমশ মুনির ঘটনায় আমরা দেখেছি যে বিশেষ কিছু ঋষি -ব্রাহ্মণদের দেবলোক ও মর্ত্য তথা সমতলে যাতায়াত ছিল ।
যমদেব দায়িত্ব নিলেন, যে নচিকেতার পিতা স্বাভাবিক ব্যবহার করবেন । যথাতথা instruction দেওয়া থাকবে ।
-ক্রমশ
'শান্তসংকল্পঃ / যথা / স্বর্গে লোকে / স ত্বমগ্নি '
নচিকেতা প্রথম বর চাইলেন, তার পিতা যেন তার বিষয়ে দুশ্চিন্তাহীন এবং তার প্রতি প্রসন্নমনা ও ক্রোধরহিত থাকেন ( এভাবে চলে আসাতে )। এবং এখান থেকে পিতৃগৃহে ফিরে যাবার পর পিতা যেন পূর্বের মতোই ব্যবহার করেন ( কথা বলেন )।
এ অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রার্থনা । যে পথে যেতে গিয়ে যুধিষ্ঠির ছাড়া দ্রৌপদীসহ বাকি চার পান্ডব মারা যান, সে পথ অবশ্যই দুর্গম । হঠাৎই চলে আসায় পিতার দুশ্চিন্তা হবেই । আর দুশ্চিন্তা মুক্ত হলে আসবে অভিমান ও ক্রোধ । যে বাড়িতে ডাকাবুকো ছেলে থাকে, তারা এই emotion টি বুঝতে পারবেন ।
নচিকেতা বালক হলেও দায়িত্ববোধ সম্পন্ন ও চিন্তাশীল । পিতার কথা যে মনের কথা ছিল না সে সেটা জানে। তবে পিতার কথাকে positively নিয়ে সে জীবন ঝুঁকি নিয়ে যমলোকে চলে এসেছে । এর আগে বিশ্বজিৎ যজ্ঞে পিতা সর্বস্ব দানের নামে রোগা-ভোগা ও মৃতপ্রায় গবাদি পশু দান দেখে সে হতাশ হয়েছিল । পিতার সংকীর্ণতা তাকে আহত করেছিল । এই পিতার কাছে প্রকৃত ব্রহ্মজ্ঞান লাভ সম্ভব নয়, সেটাও বোধকরি বুঝেছিল । পিতা যে অসূয়াহীন নয় এবং বাড়ি ফেরার পর যে বেশ ঝামেলা হতে পারে সেটাও সে জানে ।
যম দায়িত্ব নিলেন । বললেন, তুমি যখন ফিরে যাবে তোমার পিতা ক্রোধরহিত থাকবেন ।
এই ফিরে যাওয়াটা একটু বুঝে নিই । আমাদের প্রচলিত ধারণা নচিকেতা মৃত অবস্থা থেকে পুনরায় জীবিত হয়ে ফিরে আসে । যম কিন্তু বলছেন, ' মৃত্যু মুখাৎ প্রমুক্তম্' । অর্থাৎ মৃত্যু মুখ থেকে মুক্ত হয়ে যখন ফিরে যাবে । যমলোকে যাওয়া এবং সুস্থ হয়ে ফিরে আসাটা মৃত্যুমুখ থেকে ফেরাই বটে ।
মহাভারতের পান্ডু-লোমশ মুনির ঘটনায় আমরা দেখেছি যে বিশেষ কিছু ঋষি -ব্রাহ্মণদের দেবলোক ও মর্ত্য তথা সমতলে যাতায়াত ছিল ।
যমদেব দায়িত্ব নিলেন, যে নচিকেতার পিতা স্বাভাবিক ব্যবহার করবেন । যথাতথা instruction দেওয়া থাকবে ।
-ক্রমশ
Comments
Post a Comment