কঠোপনিষদ ১৮
প্রথম অধ্যায়, তৃতীয় বল্লী
২। 'নাচিকেত অগ্নি যজ্ঞ'কে যমদেব আর একবার বিশেষ স্থান দিলেন। বললেন, যারা যজ্ঞ করেন, তারা ভব-সমুদ্র পার হবার সেতু স্বরূপ নাচিকেত যজ্ঞকে জেনে অক্ষরকে পরম ব্রহ্ম জেনেছেন।
-- পরম ব্রহ্মকে জানার মধ্যবর্তী মধ্যবর্তী স্তর হল 'নাচিকেত অগ্নি বিদ্যা'। এই বিদ্যা দেবতারা জানতেন। যম দ্বিতীয় বরে নচিকেতাকে এই বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছেন। এই বিদ্যা অভ্যাস করলে ষড় রিপু এবং অষ্টপাশ মুক্ত হওয়া যায়। এসব থেকে মুক্ত না হলে আত্মজ্ঞান সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হল, এই 'নাচিকেত অগ্নিবিদ্যা' জানা না থাকলে সাধকের কি আর কোন উপায় নেই ?
বিষয়টি আসলে এরকম নয়। দেবলোকের দেবতারা 'নাচিকেত অগ্নিবিদ্যা' নামক সাধন পদ্ধতি আবিস্কার করেছিলেন এসব রিপু ও পাশ মুক্ত হবার জন্য। ঐ সাধন পদ্ধতিতে দেবতারা ঐ স্তরে পৌছতে পারতেন।
অনন্ত বিশ্বে রয়েছে অনন্ত সম্ভাবনা। 'নাচিকেত অগ্নিবিদ্যা' একমাত্র পথ নয়। উপনিষদের যুগে দেবতাদের থেকে শিখে মর্ত্যলোকের ঋষি-মুনিরা ওই অগ্নিবিদ্যা চর্চা করতেন। আরও নানা করনে নানা অগ্নিবিদ্যার চর্চা যে হত তার নামও আমরা পাই উপনিষদ চর্চাতে। পরবর্তীকালে নানা যোগ-অভ্যাস চর্চা আবিস্কার হয়েছে, যার মাধ্যমে রিপু-পাশ মুক্ত হওয়ার রাস্তা পাওয়া গেছে।
মোটামুটি বৌদ্ধযুগে এসে বৈদিক সাধন পদ্ধতি শুধু বাহ্যিক rituals এ পরিনত হয়ে উঠেছিল। ফলে এর উপযোগিতা-ও প্রায় ছিল না। এই বিদ্যা-র প্রকৃত জ্ঞান জনসমাজে আজ লুপ্ত, থাকলেও তা গোপনে সাধন করা হয়।
তবে আত্মজ্ঞান লাভের নানা বৈদিক পদ্ধতি এবং তার সফল প্রয়োগ সে যুগে চালু ছিল এটুকু আমরা ধরে নিতে পারি।
যমদেব তৃতীয় বরে 'ওঁ' -কার বা অক্ষর সাধনার কথা বলেছেন, সেই সাধনার আগে preliminary সাধনার প্রয়োজন। 'ওঁ'-কার সাধনার আগে নিজেকে তৈরী হয়ে নিতে হয়। এও এক সাধনা। সরাসরি 'ওঁ' -কার সাধনাতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।
'নাচিকেত অগ্নিবিদ্যা' এমনই এক সাধনা যাতে দেহ-মন আত্মজ্ঞান লাভের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবে।
এরপরেই যমদেব শরীরকে রথ কল্পনা করে এ পথে অগ্রসর হওয়ার কথা বলবেন।
-- ক্রমশঃ
২। 'নাচিকেত অগ্নি যজ্ঞ'কে যমদেব আর একবার বিশেষ স্থান দিলেন। বললেন, যারা যজ্ঞ করেন, তারা ভব-সমুদ্র পার হবার সেতু স্বরূপ নাচিকেত যজ্ঞকে জেনে অক্ষরকে পরম ব্রহ্ম জেনেছেন।
-- পরম ব্রহ্মকে জানার মধ্যবর্তী মধ্যবর্তী স্তর হল 'নাচিকেত অগ্নি বিদ্যা'। এই বিদ্যা দেবতারা জানতেন। যম দ্বিতীয় বরে নচিকেতাকে এই বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছেন। এই বিদ্যা অভ্যাস করলে ষড় রিপু এবং অষ্টপাশ মুক্ত হওয়া যায়। এসব থেকে মুক্ত না হলে আত্মজ্ঞান সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হল, এই 'নাচিকেত অগ্নিবিদ্যা' জানা না থাকলে সাধকের কি আর কোন উপায় নেই ?
বিষয়টি আসলে এরকম নয়। দেবলোকের দেবতারা 'নাচিকেত অগ্নিবিদ্যা' নামক সাধন পদ্ধতি আবিস্কার করেছিলেন এসব রিপু ও পাশ মুক্ত হবার জন্য। ঐ সাধন পদ্ধতিতে দেবতারা ঐ স্তরে পৌছতে পারতেন।
অনন্ত বিশ্বে রয়েছে অনন্ত সম্ভাবনা। 'নাচিকেত অগ্নিবিদ্যা' একমাত্র পথ নয়। উপনিষদের যুগে দেবতাদের থেকে শিখে মর্ত্যলোকের ঋষি-মুনিরা ওই অগ্নিবিদ্যা চর্চা করতেন। আরও নানা করনে নানা অগ্নিবিদ্যার চর্চা যে হত তার নামও আমরা পাই উপনিষদ চর্চাতে। পরবর্তীকালে নানা যোগ-অভ্যাস চর্চা আবিস্কার হয়েছে, যার মাধ্যমে রিপু-পাশ মুক্ত হওয়ার রাস্তা পাওয়া গেছে।
মোটামুটি বৌদ্ধযুগে এসে বৈদিক সাধন পদ্ধতি শুধু বাহ্যিক rituals এ পরিনত হয়ে উঠেছিল। ফলে এর উপযোগিতা-ও প্রায় ছিল না। এই বিদ্যা-র প্রকৃত জ্ঞান জনসমাজে আজ লুপ্ত, থাকলেও তা গোপনে সাধন করা হয়।
তবে আত্মজ্ঞান লাভের নানা বৈদিক পদ্ধতি এবং তার সফল প্রয়োগ সে যুগে চালু ছিল এটুকু আমরা ধরে নিতে পারি।
যমদেব তৃতীয় বরে 'ওঁ' -কার বা অক্ষর সাধনার কথা বলেছেন, সেই সাধনার আগে preliminary সাধনার প্রয়োজন। 'ওঁ'-কার সাধনার আগে নিজেকে তৈরী হয়ে নিতে হয়। এও এক সাধনা। সরাসরি 'ওঁ' -কার সাধনাতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।
'নাচিকেত অগ্নিবিদ্যা' এমনই এক সাধনা যাতে দেহ-মন আত্মজ্ঞান লাভের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবে।
এরপরেই যমদেব শরীরকে রথ কল্পনা করে এ পথে অগ্রসর হওয়ার কথা বলবেন।
-- ক্রমশঃ
Comments
Post a Comment