কঠোপনিষদ 6
দেবতাদের মানবদেহধারী বর্ণনায় একজন স্নেহ ভাজন কিছু যথাযথ প্রশ্ন তুলেছেন । সংক্ষেপে এখানে জানাই ঋক বেদে বারংবার দেবতাদের নর বা মানুষ বলে উল্লেখ করা হয়েছে । যেমন -
1। 1/30/9 = ইন্দ্রকে 'নরম্'
2। 4/17/11 = ইন্দ্রকে 'নৃতম্'
3। 3/1/12 = অগ্নিকে 'নৃতম্ '
4। 3/52/8 = ইন্দ্র শ্রেষ্ঠ মানববীর (বীরতমায়নৃণাম)
5। 5/4/6 = অগ্নি নরপতি ( নৃণাং নৃপতে)।
এছাড়াও বেশ কিছু সূত্রে দেবতাদের হাত-পা ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বর্ণনা আছে ।
6। 1/20/1 = এই ঋকের ভাষ্যে সায়ণাচার্য বলেন, ঋভুরা আগে মানুষ ছিলেন, পরে তপস্যা করে দেবত্ব লাভ করেন।
ছান্দোগ্য উপনিষদে (1/4/2) বলা আছে, দেবতারা মৃত্যু ভয়ে ভীত হয়েছিলেন ।
(বিস্তারিত আলোচনা page 175 - আর্য দিগন্তে সিন্ধু সভ্যতা )
আধাত্ম্য স্বর্গ, ভৌম স্বর্গ এক নয় । পারলৌকিক স্বর্গ থাকতে পারে । তবে দেবগোষ্ঠীর লোকেরা পার্বত্য অঞ্চলে 'ভৌম স্বর্গ ' গড়ে তুলেছিলেন । নাম থেকেই বোঝা যায় এটি ভূ-জগতে অবস্থিত।
সূত্র 14 - 19
দ্বিতীয় বরে নচিকেতা যমদেবকে বললেন, স্বর্গলোকে, যেখানে দুঃখ -শোক, ক্ষুৎ-পিপাসা-ভয় নেই, সেই স্বর্গের সাধন স্বরূপ অগ্নিবিদ্যা প্রদান করুক । যমদেব জানালেন, স্বর্গ লোকের এই গোপন ( নিহিতং গুহায়াম ) বিদ্যা তিনি জানেন এবং নচিকেতাকে এই গুপ্ত বিদ্যা শেখালেন ।
দুটো interesting বিষয় আমরা লক্ষ্য করলাম এখানে ।
1। 'লোকাদিমগ্নিং তমুবাচ ' এবং
2। ' ইষ্টকা যাবতীর্বা যথা বা ' ।
যমদেব লোকসমূদয়ের আদি ভূত সেই অগ্নি বিষয়ে বললেন। পঞ্চভূতাদি র আদি যে অগ্নি, সূর্য যে অগ্নিগোলক, তার থেকে অগ্নিগোলক হিসাবে পৃথিবীর সৃষ্টি । সেই অগ্নিগোলক থেকেই পঞ্চভূতাদির সৃষ্টি । এই scientific information তদানীন্তন আর্যরা কিভাবে অর্জন করেছিল জানিনা, অগ্নিকে আদিভূত জ্ঞান করে নিজ শরীর কেন্দ্রিক এক গোপন সাধনার ধারা প্রবর্তিত হয়েছিল বোঝা গেল ।
অগ্নিহোত্র কর্মে ইষ্টক স্থাপন করে অগ্নিচয়ন করতে হয়। উপাসনায় এক বছরে প্রত্যহ দুবেলা ধরে 720 বেলা উপাসনা করতে হয়। সকাল ও সন্ধ্যা এই দুটিকে এক একটি ইট চিন্তা করে করে 720 টি ইট স্থাপন করতে হয় ।
উপাসনাতে বিরাট রূপ অগ্নিকে নিজ হৃদয়ে স্থাপন করে তাতে আহুতি দিচ্ছি এমন চিন্তা করতে হয় ।
যমদেব নচিকেতাকে লোকাদির আদি ভূত অগ্নি, ইট স্থাপন, অগ্নিচয়ন ইত্যাদি শেখালেন। অর্থাৎ অগ্নিবিদ্যার যজ্ঞাদি কর্ম ও উপাসনা দুই-ই শেখালেন । বারবার মনন, উচ্চারণ করে নচিকেতা এটি শিখে নিলে সন্তুষ্ট যমদেব নচিকেতাকে মণিখচিত রত্নহার উপহার দিলেন।
এখানে interesting হল 16 নং সূত্রে যমদেবকে 'মহাত্মা ' বলে সম্বোধন করা হয়েছে । সাধারণত একজন মহান মানুষকেই মহাত্মা বলা হয়, এটা ভুলে গেলে চলবে না ।
17 নং সূত্রে যে 'ত্রিনাচিকেতঃ' বলা হল, এর অর্থ দুটি ।
1। তিনবার নাচিকেত নামক অগ্নির চয়ন এবং
2। নাচিকেত অগ্নির অধ্যয়ন, ঐ অগ্নিবিষয়ে বিশেষ জ্ঞান এবং ঐ অগ্নিসাধ্য কর্মানুষ্ঠান যার আছে, তিনিই ত্রিনাচিকেতঃ ।
-ক্রমশ
1। 1/30/9 = ইন্দ্রকে 'নরম্'
2। 4/17/11 = ইন্দ্রকে 'নৃতম্'
3। 3/1/12 = অগ্নিকে 'নৃতম্ '
4। 3/52/8 = ইন্দ্র শ্রেষ্ঠ মানববীর (বীরতমায়নৃণাম)
5। 5/4/6 = অগ্নি নরপতি ( নৃণাং নৃপতে)।
এছাড়াও বেশ কিছু সূত্রে দেবতাদের হাত-পা ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বর্ণনা আছে ।
6। 1/20/1 = এই ঋকের ভাষ্যে সায়ণাচার্য বলেন, ঋভুরা আগে মানুষ ছিলেন, পরে তপস্যা করে দেবত্ব লাভ করেন।
ছান্দোগ্য উপনিষদে (1/4/2) বলা আছে, দেবতারা মৃত্যু ভয়ে ভীত হয়েছিলেন ।
(বিস্তারিত আলোচনা page 175 - আর্য দিগন্তে সিন্ধু সভ্যতা )
আধাত্ম্য স্বর্গ, ভৌম স্বর্গ এক নয় । পারলৌকিক স্বর্গ থাকতে পারে । তবে দেবগোষ্ঠীর লোকেরা পার্বত্য অঞ্চলে 'ভৌম স্বর্গ ' গড়ে তুলেছিলেন । নাম থেকেই বোঝা যায় এটি ভূ-জগতে অবস্থিত।
সূত্র 14 - 19
দ্বিতীয় বরে নচিকেতা যমদেবকে বললেন, স্বর্গলোকে, যেখানে দুঃখ -শোক, ক্ষুৎ-পিপাসা-ভয় নেই, সেই স্বর্গের সাধন স্বরূপ অগ্নিবিদ্যা প্রদান করুক । যমদেব জানালেন, স্বর্গ লোকের এই গোপন ( নিহিতং গুহায়াম ) বিদ্যা তিনি জানেন এবং নচিকেতাকে এই গুপ্ত বিদ্যা শেখালেন ।
দুটো interesting বিষয় আমরা লক্ষ্য করলাম এখানে ।
1। 'লোকাদিমগ্নিং তমুবাচ ' এবং
2। ' ইষ্টকা যাবতীর্বা যথা বা ' ।
যমদেব লোকসমূদয়ের আদি ভূত সেই অগ্নি বিষয়ে বললেন। পঞ্চভূতাদি র আদি যে অগ্নি, সূর্য যে অগ্নিগোলক, তার থেকে অগ্নিগোলক হিসাবে পৃথিবীর সৃষ্টি । সেই অগ্নিগোলক থেকেই পঞ্চভূতাদির সৃষ্টি । এই scientific information তদানীন্তন আর্যরা কিভাবে অর্জন করেছিল জানিনা, অগ্নিকে আদিভূত জ্ঞান করে নিজ শরীর কেন্দ্রিক এক গোপন সাধনার ধারা প্রবর্তিত হয়েছিল বোঝা গেল ।
অগ্নিহোত্র কর্মে ইষ্টক স্থাপন করে অগ্নিচয়ন করতে হয়। উপাসনায় এক বছরে প্রত্যহ দুবেলা ধরে 720 বেলা উপাসনা করতে হয়। সকাল ও সন্ধ্যা এই দুটিকে এক একটি ইট চিন্তা করে করে 720 টি ইট স্থাপন করতে হয় ।
উপাসনাতে বিরাট রূপ অগ্নিকে নিজ হৃদয়ে স্থাপন করে তাতে আহুতি দিচ্ছি এমন চিন্তা করতে হয় ।
যমদেব নচিকেতাকে লোকাদির আদি ভূত অগ্নি, ইট স্থাপন, অগ্নিচয়ন ইত্যাদি শেখালেন। অর্থাৎ অগ্নিবিদ্যার যজ্ঞাদি কর্ম ও উপাসনা দুই-ই শেখালেন । বারবার মনন, উচ্চারণ করে নচিকেতা এটি শিখে নিলে সন্তুষ্ট যমদেব নচিকেতাকে মণিখচিত রত্নহার উপহার দিলেন।
এখানে interesting হল 16 নং সূত্রে যমদেবকে 'মহাত্মা ' বলে সম্বোধন করা হয়েছে । সাধারণত একজন মহান মানুষকেই মহাত্মা বলা হয়, এটা ভুলে গেলে চলবে না ।
17 নং সূত্রে যে 'ত্রিনাচিকেতঃ' বলা হল, এর অর্থ দুটি ।
1। তিনবার নাচিকেত নামক অগ্নির চয়ন এবং
2। নাচিকেত অগ্নির অধ্যয়ন, ঐ অগ্নিবিষয়ে বিশেষ জ্ঞান এবং ঐ অগ্নিসাধ্য কর্মানুষ্ঠান যার আছে, তিনিই ত্রিনাচিকেতঃ ।
-ক্রমশ
Comments
Post a Comment