কঠোপনিষদ 2
আমরা যেভাবে আর্য সভ্যতাকে অনুধাবন করতে চেয়েছি ( আর্য দিগন্তে সিন্ধু সভ্যতা ) তাতে তথাকথিত দেবতারা সকলেই মানুষ । ভৌম স্বর্গ বলে হিমালয়ে protected স্থান আছে । তার দখল নিয়ে দেবতা ও অসুর দের মধ্যে লড়াই । সে স্থানের রাজা হলেন ইন্দ্র। হিরণ্যকশিপু, প্রহ্লাদ, বিরোচন, বলি - এনারা অসুর দের মধ্যে ইন্দ্র । পরবর্তীকালে এই পদ দেবতাদের দখলে । দেব-অসুর ছাড়া আর এক গোষ্ঠী হল তাদেরই colony (পাতাল) এলাকাতে দায়িত্ব প্রাপ্ত মনুদের বংশ । বিখ্যাত সূর্য ও চন্দ্র বংশ । এরা মানব (মনু থেকে )। চন্দ্র বংশের রজি এবং নহুষ ইন্দ্র পদ লাভ করেছিলেন ।
এই তথাকথিত আর্যরা প্রথমে পার্বত্য অঞ্চলে বসতি স্থাপন করলেও তথাকথিত অনার্যদের সাথে লড়াই ছিলই । ক্রমশই আর্যরা ভারতের সমভূমিতে বিস্তৃত হচ্ছিল । আর ফলস্বরূপ আদি বসতি স্থান সমতলবাসীদের কাছে অগম্য হচ্ছিল । পান্ডু রাজা বনবাসকালে(বদ্রির কাছে ) লোমশ মুনিকে দলবল নিয়ে স্বর্গে যেতে দেখেছেন । তিনি যেতে চাইলেও অনুমতি নেই বলা হয় । এই স্বর্গের দক্ষিণ দিকে সমতল বলে পাহারার ব্যবস্থা হয়। দায়িত্ব যমরাজ । তার সশস্ত্র বাহিনী ও হিংস্র পাহাড়ী কুকুর আছে । অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই যমলোক হল মৃত্যু লোক । সেখানে কেউ এলে তার বিচার হয়। পাশ করলে স্বর্গ, নাহলে নরক বা কারাগার ।
তাবলে যমরাজ নৃশংস নন । তিনি দ্বাদশ আদিত্যের একজন বিবস্বানের পুত্র । পরবর্তীকালে এটি পদ । যিনি বসেন তিনিই যম। এই পদাধিকারী একজন দেবতা । তাই দেবতালব্ধ সকল ইহ ও পারলৌকিক জ্ঞানের অধিকারী। মর্ত্য বাসী বা সমতলবাসীদের কাছে তিনি একাধারে ভীতিজনক ও ধর্মরাজ। এহেন যমরাজের কাছে নচিকেতা এলেন।
এখন কথা হল, দেবতারা যদি মানুষ হন, তাহলে তথাকথিত হিন্দুরা কার পূজা করেন ?
আমাদের ভেবে দেখতে হবে দেবতারা যদি ঈশ্বর হবেন, তাহলে মহাদেব বা ব্রহ্মা কার ধ্যান করেন ? কার উদ্দেশ্যে তপস্যা করেন ? তাহলে এনারা কারা ?
ঋক বেদে যিনি ব্রহ্মণস্পতি বা ব্রহ্ম, তিনি কিন্তু ব্রহ্মা নন । আদি আর্যদের মধ্যে যিনি প্রথম ব্রহ্ম জ্ঞান লাভ করেন, সেই মানুষটি হলেন ব্রহ্মা । ইনি সকলের পিতা । পরবর্তীকালে এটি একটি পদ । ভাগবত ইত্যাদি পুরাণে 14 জন বিষ্ণু ও 14 জন ইন্দ্রের নাম আছে । এই পদ গুলিতে অধিষ্ঠানকারীরা সকলেই নানা বিষয়ে শক্তিধর । তাই দেবতারা পূজনীয় । পূজনীয় অর্থাৎ সম্মানীয় । পরে আমরা মূর্তি বসিয়ে আরাধনা করলেও আদিতে এমনটা ছিল না ।
যেমন করে রাম বা কৃষ্ণ অথবা আধুনিককালে চৈতন্য বা রামকৃষ্ণ মানুষ থেকে দেবতা, তেমনই শিব, ব্রহ্মা বা বিষ্ণুও আমাদের দেবতা হয়েছেন ।
যাই হোক এমনই এক ধর্মরাজ যমদেবের কাছে এলেন উদ্দালক ঋষির পুত্র নচিকেতা ।
এই তথাকথিত আর্যরা প্রথমে পার্বত্য অঞ্চলে বসতি স্থাপন করলেও তথাকথিত অনার্যদের সাথে লড়াই ছিলই । ক্রমশই আর্যরা ভারতের সমভূমিতে বিস্তৃত হচ্ছিল । আর ফলস্বরূপ আদি বসতি স্থান সমতলবাসীদের কাছে অগম্য হচ্ছিল । পান্ডু রাজা বনবাসকালে(বদ্রির কাছে ) লোমশ মুনিকে দলবল নিয়ে স্বর্গে যেতে দেখেছেন । তিনি যেতে চাইলেও অনুমতি নেই বলা হয় । এই স্বর্গের দক্ষিণ দিকে সমতল বলে পাহারার ব্যবস্থা হয়। দায়িত্ব যমরাজ । তার সশস্ত্র বাহিনী ও হিংস্র পাহাড়ী কুকুর আছে । অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই যমলোক হল মৃত্যু লোক । সেখানে কেউ এলে তার বিচার হয়। পাশ করলে স্বর্গ, নাহলে নরক বা কারাগার ।
তাবলে যমরাজ নৃশংস নন । তিনি দ্বাদশ আদিত্যের একজন বিবস্বানের পুত্র । পরবর্তীকালে এটি পদ । যিনি বসেন তিনিই যম। এই পদাধিকারী একজন দেবতা । তাই দেবতালব্ধ সকল ইহ ও পারলৌকিক জ্ঞানের অধিকারী। মর্ত্য বাসী বা সমতলবাসীদের কাছে তিনি একাধারে ভীতিজনক ও ধর্মরাজ। এহেন যমরাজের কাছে নচিকেতা এলেন।
এখন কথা হল, দেবতারা যদি মানুষ হন, তাহলে তথাকথিত হিন্দুরা কার পূজা করেন ?
আমাদের ভেবে দেখতে হবে দেবতারা যদি ঈশ্বর হবেন, তাহলে মহাদেব বা ব্রহ্মা কার ধ্যান করেন ? কার উদ্দেশ্যে তপস্যা করেন ? তাহলে এনারা কারা ?
ঋক বেদে যিনি ব্রহ্মণস্পতি বা ব্রহ্ম, তিনি কিন্তু ব্রহ্মা নন । আদি আর্যদের মধ্যে যিনি প্রথম ব্রহ্ম জ্ঞান লাভ করেন, সেই মানুষটি হলেন ব্রহ্মা । ইনি সকলের পিতা । পরবর্তীকালে এটি একটি পদ । ভাগবত ইত্যাদি পুরাণে 14 জন বিষ্ণু ও 14 জন ইন্দ্রের নাম আছে । এই পদ গুলিতে অধিষ্ঠানকারীরা সকলেই নানা বিষয়ে শক্তিধর । তাই দেবতারা পূজনীয় । পূজনীয় অর্থাৎ সম্মানীয় । পরে আমরা মূর্তি বসিয়ে আরাধনা করলেও আদিতে এমনটা ছিল না ।
যেমন করে রাম বা কৃষ্ণ অথবা আধুনিককালে চৈতন্য বা রামকৃষ্ণ মানুষ থেকে দেবতা, তেমনই শিব, ব্রহ্মা বা বিষ্ণুও আমাদের দেবতা হয়েছেন ।
যাই হোক এমনই এক ধর্মরাজ যমদেবের কাছে এলেন উদ্দালক ঋষির পুত্র নচিকেতা ।
Comments
Post a Comment