উপনিষদ ( মান্ডুক্যোপনিষদ 6 ) পর্ব 12
'সোহয়মাত্রাধ্যক্ষরম্ ....অকার উকার মকার ইতি ' । 8
'জাগরিতস্থানো ... য এবং বেদ ' । 9
'স্বপ্নস্থানস্তৈজস ..... য এবং বেদ । 10
'অমাত্রশ্চতুর্থোহব্যবহার্যঃ... য এবং বেদ । 11
উপনিষদের ঋষিরা বারংবার 'অক্ষর' কথার উপর জোর দিয়েছেন । পরমব্রহ্মকে বলেছেন 'অক্ষরপুরুষ'। এখানে ঋষি জানালেন 'ওঙ্কার ' - এই অক্ষরই হল আত্মা, যা পরমাত্মার অংশ। অ-উ-ম এই তিন হল ওঙ্কারের মাত্রা । ওঙ্কারের প্রতিটি মাত্রাই হল আত্মার প্রথম তিন পাদ। অ-উ-ম এই তিন মাত্রা যখন মিলেমিশে একাকার হল তখন উচ্চারিত হল 'ওম', এই ওম হল আত্মার চতুর্থ পাদ, তুরীয় অবস্থা।
আর পাঁচটা ভাষার সাথে সংস্কৃত ভাষার বর্ণমালার এক বিশেষ তফাত আছে । সংস্কৃত বর্ণমালা শ্রেণীবদ্ধভাবে উচ্চারণ স্থান ভেদে সারিবদ্ধ । এর ব্যঞ্জনবর্ণের 5 টি বর্গ, প্রতি বর্গে 5 টি করে বর্ণমালা । এটি কেবলমাত্র সাধারণ মানুষের মুখে মুখে সৃষ্ট হতে পারে না । এর পিছনে সুগভীর ভাবনা ও দর্শন আছে । শব্দের প্রয়োজনে স্বাধীন স্বরবর্ণ এবং য,র থেকে হ পর্যন্ত বর্নগুলিও বিশেষ ব্যঞ্জনাময় ।
ধ্বনি বা বর্ণের ধর্ম হল কম্পন তোলা । যোগ এবং তন্ত্র শাস্ত্র পাঠ করলে দেখা যায় ঋষি বা সিদ্ধ যোগীরা মানব শরীরের বিভিন্ন চক্রে, যা পিনিয়াল, পিটুইটারি ইত্যাদি gland এর সাথে সম্পর্কিত, বিভিন্ন বর্ণের দর্শন লাভ করেছেন বা করেন । ভারতীয় মুনি ঋষিরা মানব শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বর্ণের রূপ দর্শন করেছেন এবং কন্ঠ, ওষ্ঠ,মূর্ধা, তালু এবং দন্ত ইত্যাদি বিভিন্ন স্থানে এদের উচ্চারণ এবং তার তার অনুরণন এর ফলে তাদের চক্রে চক্রে এর প্রভাব অনুভব করেছিলেন । আজ সাধারণের কাছে সংস্কৃত মৃতপ্রায় হলেও ভারতের অনেক ভাষাতেই এই বর্ণমালা চালু রয়েছে । বাংলা ও হিন্দি তার মধ্যে অন্যতম। সংস্কৃত বর্ণের রূপ অবশ্য হিন্দি ও মারাঠী তে ব্যবহৃত আছে ।
উপনিষদের ঋষি বললেন, স্বর এবং ব্যঞ্জন মিলিয়ে প্রথম বর্ণ হল 'অ' । ওঙ্কারের প্রথম বর্ণ হল 'অ'। এটি আদি । এটি আত্মার প্রথম পাদ । ওঙ্কারের দ্বিতীয় বর্ণ 'উ'। আদি বর্ণ 'অ', 'উ' তে এসে সূক্ষ্ম ও পরিমার্জিত হল । এ হল আত্মার দ্বিতীয় পাদ । পঞ্চ বর্গের শেষ বর্ণ হল 'ম'। বর্গগুলির এখানে সমাপ্তি । এ হল আত্মার তৃতীয় পাদ । 'অ' থেকে 'ম' পর্যন্ত আত্মার বিস্তার। তিন বর্ণ যখন মিলিত হয়ে 'ওম'রূপ ধারণ করল সেখানে আত্মা পরমাত্মার সাথে একাকার হল ।
---ক্রমশঃ
'জাগরিতস্থানো ... য এবং বেদ ' । 9
'স্বপ্নস্থানস্তৈজস ..... য এবং বেদ । 10
'অমাত্রশ্চতুর্থোহব্যবহার্যঃ... য এবং বেদ । 11
উপনিষদের ঋষিরা বারংবার 'অক্ষর' কথার উপর জোর দিয়েছেন । পরমব্রহ্মকে বলেছেন 'অক্ষরপুরুষ'। এখানে ঋষি জানালেন 'ওঙ্কার ' - এই অক্ষরই হল আত্মা, যা পরমাত্মার অংশ। অ-উ-ম এই তিন হল ওঙ্কারের মাত্রা । ওঙ্কারের প্রতিটি মাত্রাই হল আত্মার প্রথম তিন পাদ। অ-উ-ম এই তিন মাত্রা যখন মিলেমিশে একাকার হল তখন উচ্চারিত হল 'ওম', এই ওম হল আত্মার চতুর্থ পাদ, তুরীয় অবস্থা।
আর পাঁচটা ভাষার সাথে সংস্কৃত ভাষার বর্ণমালার এক বিশেষ তফাত আছে । সংস্কৃত বর্ণমালা শ্রেণীবদ্ধভাবে উচ্চারণ স্থান ভেদে সারিবদ্ধ । এর ব্যঞ্জনবর্ণের 5 টি বর্গ, প্রতি বর্গে 5 টি করে বর্ণমালা । এটি কেবলমাত্র সাধারণ মানুষের মুখে মুখে সৃষ্ট হতে পারে না । এর পিছনে সুগভীর ভাবনা ও দর্শন আছে । শব্দের প্রয়োজনে স্বাধীন স্বরবর্ণ এবং য,র থেকে হ পর্যন্ত বর্নগুলিও বিশেষ ব্যঞ্জনাময় ।
ধ্বনি বা বর্ণের ধর্ম হল কম্পন তোলা । যোগ এবং তন্ত্র শাস্ত্র পাঠ করলে দেখা যায় ঋষি বা সিদ্ধ যোগীরা মানব শরীরের বিভিন্ন চক্রে, যা পিনিয়াল, পিটুইটারি ইত্যাদি gland এর সাথে সম্পর্কিত, বিভিন্ন বর্ণের দর্শন লাভ করেছেন বা করেন । ভারতীয় মুনি ঋষিরা মানব শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বর্ণের রূপ দর্শন করেছেন এবং কন্ঠ, ওষ্ঠ,মূর্ধা, তালু এবং দন্ত ইত্যাদি বিভিন্ন স্থানে এদের উচ্চারণ এবং তার তার অনুরণন এর ফলে তাদের চক্রে চক্রে এর প্রভাব অনুভব করেছিলেন । আজ সাধারণের কাছে সংস্কৃত মৃতপ্রায় হলেও ভারতের অনেক ভাষাতেই এই বর্ণমালা চালু রয়েছে । বাংলা ও হিন্দি তার মধ্যে অন্যতম। সংস্কৃত বর্ণের রূপ অবশ্য হিন্দি ও মারাঠী তে ব্যবহৃত আছে ।
উপনিষদের ঋষি বললেন, স্বর এবং ব্যঞ্জন মিলিয়ে প্রথম বর্ণ হল 'অ' । ওঙ্কারের প্রথম বর্ণ হল 'অ'। এটি আদি । এটি আত্মার প্রথম পাদ । ওঙ্কারের দ্বিতীয় বর্ণ 'উ'। আদি বর্ণ 'অ', 'উ' তে এসে সূক্ষ্ম ও পরিমার্জিত হল । এ হল আত্মার দ্বিতীয় পাদ । পঞ্চ বর্গের শেষ বর্ণ হল 'ম'। বর্গগুলির এখানে সমাপ্তি । এ হল আত্মার তৃতীয় পাদ । 'অ' থেকে 'ম' পর্যন্ত আত্মার বিস্তার। তিন বর্ণ যখন মিলিত হয়ে 'ওম'রূপ ধারণ করল সেখানে আত্মা পরমাত্মার সাথে একাকার হল ।
---ক্রমশঃ
Comments
Post a Comment