উপনিষদ ( মান্ডুক্যোপনিষদ শেষ পর্ব ) 13

( শ্রী চিত্তরঞ্জন ঘোষাল মহাশয়ের সহায়তায় )
   জাগ্রত অবস্থায় (প্রথম পাদ) জীবের যাবতীয় ধ্যান-জ্ঞান-কাজ  যখন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতকে নিয়ে, তার চুড়ান্ত অবস্থায় আত্মা ইন্দ্রিয়াদি সকল বিষয়ে জ্ঞানী । এই অবস্থা হল বর্ণমালার প্রথম বর্ণ 'অ'। শরীরে এর অবস্থান নাভিতে।
  আত্মার দ্বিতীয়পাদ, বর্ণমালার 'উ'। এ অবস্থায় আত্মা স্থুল থেকে সূক্ষ্ম জ্ঞানের দিকে চলে এসেছে । শরীরে এর অবস্থান নাভি অতিক্রম করে হৃদয়ে । যে এখানে 'উ' মাত্রাকে উপলব্ধি করেন সৃষ্টি রহস্যের দ্বার তার কাছে খুলে যায় ।
  এরপর যাত্রা বর্ণমালার শেষ  (বর্গের) 'ম' অক্ষরে। এর স্থান আজ্ঞাচক্রে। এ অবস্থায় আত্মা প্রাজ্ঞ । আত্মা এসময়ে সূক্ষ্ম থেকে কারণে এসে হাজির ।
   চতুর্থ পাদ আত্মার তুরীয় অবস্থা। স্থান সহস্রার (মাথায়)। অ-উ-ম একাকার হয়ে এখানে 'ওম' ধ্বনি তে উচ্চারিত ।
  ঋষি জানিয়েছেন ওঙ্কার তথা প্রণব মন্ত্রের সাধনাই হল পরমাত্মার সাধনা। এই সাধনায় আত্মা প্রথমে 'শান্ত' হবে, পরে 'শিব' হয়ে পরমাত্মায় একাকার হয়ে 'অদ্বৈত' হবে। এই 'শান্তম-শিবম-অদ্বৈতম ' হল উপনিষদের বাণী ।
সমাপ্ত ।

Comments

Popular posts from this blog

কঠোপনিষদ ২০

উপনিষদ পর্ব 1

মহাভারত শ্লোক