উপনিষদ (ঈশ্ 3 ) 4
অসুর্যা নাম তে ....চাত্মহনো জনা ।। 3
অনেজদেকং ...... দধাতি ।। 4
তদেজতি তন্নৈজতি ...বাহ্যতঃ ।। 5
যস্তু সর্বাণি .... বিজুগুপ্সতে ।। 6
যস্মিন ... একত্বমনুপশ্যতঃ ।। 7
স পর্য.....শাশ্বতীভ্য সমাভ্য ।। 8
অন্ধং তমঃ ..... বিদ্যায়াং রতাঃ ।। 9
অন্যদেবা...... নস্তদ্বিচচক্ষিরে ।। 10
প্রাচীন ঋষি ঈশোপনিষদের এই কটি শ্লোকে জানাচ্ছেন, যারা সৎ-চিৎ-আনন্দময় আত্মার স্বরূপ না জেনে আপন বিলাসে জীবিত থাকেন তারা আত্মহননকারী।
আত্মা, যা পরমাত্মা বা ব্রহ্মের অংশ, নিশ্চল হয়েও মনের গতির চেয়ে দ্রুতগামী । তিনি (আত্মা ) চলেন, আবার চলেন না । তিনি বহুদূরেও আছেন, আবার নিকটেও আছেন (অজ্ঞানীর কাছে দূরে, জ্ঞানীর কাছে নিকটে), এই সৃষ্টির সমস্তকিছুর ভেতরেও আছেন, আবার বাইরেও আছেন ।
যিনি সর্বভূতে আত্মাকে দর্শন করেন, আবার নিজ আত্মার মধ্যে ব্রহ্মকে দর্শন করেন তিনি কখনই কাউকে ঘৃণা করতে পারেন না । গীতায় সমতুল্য পাওয়া যাচ্ছে -
' সর্বভূতস্থমাত্মনং সর্বভূতনি চাত্মনি
ঈক্ষতে যোগযুক্তাত্মা সর্বত্র সমদর্শনঃ' - 5/29
- যোগাবস্থায় মানুষ ব্রহ্মদর্শী হয়ে পরমাত্মাকে সর্বভূতে এবং ভূতসকলকে স্বীয় আত্মায় অভিন্নরূপে দর্শন করেন ।
এরূপ মানুষকে সমদর্শী বলে । যিনি সর্বত্রই সেই এক ও অদ্বিতীয় আত্মাকে দেখেন তিনি আত্মদর্শী তথা জ্ঞানী । তিনি শোক ও মোহকেও একই ভাবে দেখেন ।
এই দেহশূন্য আত্মা সর্বদ্রষ্টা,সর্বজ্ঞ, স্বয়ম্ভূ ।
যারা অবিদ্যার উপাসনা করেন তারা তো বটেই যারা বিদ্যার উপাসনা করেন তারাও অন্ধকারে তলিয়ে যান ।
এইখানে এসে দ্বন্দ্বের উদ্ভব হল । সহজ ভাষায় অবিদ্যা হল ভোগ-বিলাসের চর্চা । বিদ্যা হল শাস্ত্র বা জ্ঞান চর্চা । অবিদ্যা চর্চায় সুখভোগ হলেও সে সুখ ক্ষণস্থায়ী , এর আধীক্যতার পরিণাম অন্ধকারময়, এটি বোঝা গেলেও জ্ঞান চর্চার পরিণতি অন্ধকারময় কেন হবে, এ প্রশ্ন আসবে ।
ব্যাখ্যায় বলা যেতে পারে জ্ঞান অনুভবের বিষয়, এর শুষ্ক চর্চা মানুষকে পন্ডিতাভিমানী করে তোলে, জ্ঞানপাপী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে । বিদ্যা অর্জন করে তা আত্ম দর্শনের কাজে না লাগিয়ে পন্ডিতি চর্চার ফল তাই অন্ধকারময়।
- ক্রমশঃ
অনেজদেকং ...... দধাতি ।। 4
তদেজতি তন্নৈজতি ...বাহ্যতঃ ।। 5
যস্তু সর্বাণি .... বিজুগুপ্সতে ।। 6
যস্মিন ... একত্বমনুপশ্যতঃ ।। 7
স পর্য.....শাশ্বতীভ্য সমাভ্য ।। 8
অন্ধং তমঃ ..... বিদ্যায়াং রতাঃ ।। 9
অন্যদেবা...... নস্তদ্বিচচক্ষিরে ।। 10
প্রাচীন ঋষি ঈশোপনিষদের এই কটি শ্লোকে জানাচ্ছেন, যারা সৎ-চিৎ-আনন্দময় আত্মার স্বরূপ না জেনে আপন বিলাসে জীবিত থাকেন তারা আত্মহননকারী।
আত্মা, যা পরমাত্মা বা ব্রহ্মের অংশ, নিশ্চল হয়েও মনের গতির চেয়ে দ্রুতগামী । তিনি (আত্মা ) চলেন, আবার চলেন না । তিনি বহুদূরেও আছেন, আবার নিকটেও আছেন (অজ্ঞানীর কাছে দূরে, জ্ঞানীর কাছে নিকটে), এই সৃষ্টির সমস্তকিছুর ভেতরেও আছেন, আবার বাইরেও আছেন ।
যিনি সর্বভূতে আত্মাকে দর্শন করেন, আবার নিজ আত্মার মধ্যে ব্রহ্মকে দর্শন করেন তিনি কখনই কাউকে ঘৃণা করতে পারেন না । গীতায় সমতুল্য পাওয়া যাচ্ছে -
' সর্বভূতস্থমাত্মনং সর্বভূতনি চাত্মনি
ঈক্ষতে যোগযুক্তাত্মা সর্বত্র সমদর্শনঃ' - 5/29
- যোগাবস্থায় মানুষ ব্রহ্মদর্শী হয়ে পরমাত্মাকে সর্বভূতে এবং ভূতসকলকে স্বীয় আত্মায় অভিন্নরূপে দর্শন করেন ।
এরূপ মানুষকে সমদর্শী বলে । যিনি সর্বত্রই সেই এক ও অদ্বিতীয় আত্মাকে দেখেন তিনি আত্মদর্শী তথা জ্ঞানী । তিনি শোক ও মোহকেও একই ভাবে দেখেন ।
এই দেহশূন্য আত্মা সর্বদ্রষ্টা,সর্বজ্ঞ, স্বয়ম্ভূ ।
যারা অবিদ্যার উপাসনা করেন তারা তো বটেই যারা বিদ্যার উপাসনা করেন তারাও অন্ধকারে তলিয়ে যান ।
এইখানে এসে দ্বন্দ্বের উদ্ভব হল । সহজ ভাষায় অবিদ্যা হল ভোগ-বিলাসের চর্চা । বিদ্যা হল শাস্ত্র বা জ্ঞান চর্চা । অবিদ্যা চর্চায় সুখভোগ হলেও সে সুখ ক্ষণস্থায়ী , এর আধীক্যতার পরিণাম অন্ধকারময়, এটি বোঝা গেলেও জ্ঞান চর্চার পরিণতি অন্ধকারময় কেন হবে, এ প্রশ্ন আসবে ।
ব্যাখ্যায় বলা যেতে পারে জ্ঞান অনুভবের বিষয়, এর শুষ্ক চর্চা মানুষকে পন্ডিতাভিমানী করে তোলে, জ্ঞানপাপী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে । বিদ্যা অর্জন করে তা আত্ম দর্শনের কাজে না লাগিয়ে পন্ডিতি চর্চার ফল তাই অন্ধকারময়।
- ক্রমশঃ
Comments
Post a Comment