উপনিষদ পর্ব 16
যদিও দুই শতাধিক উপনিষদের নাম পাওয়া যায় পন্ডিতগণ মনে করেন তার মধ্যে 108 টি গ্রহণযোগ্য । এদের মধ্যে আবার ঈশ, কেন, কঠ, প্রশ্ন, ঐতরেয়, ছান্দোগ্য, বৃহদারন্যক ইত্যাদি 18 হল প্রাচীনতম । এগুলি বৈদিক যুগে রচিত । যদিও অন্যগুলি পরবর্তীকালে রচিত আমরা আলোচনায় সেগুলি বর্জন করব না । কারণ সব উপনিষদই গুরু-পরম্পরায় কিছু না কিছু সাধন-উপলব্ধির ফসল। প্রাচীন হলেই মূল্যবান এবং পরবর্তী কালের হলে বর্জনীয়, এমন কথা আমরা মানব না । এমনই এক হল যাজ্ঞবল্ক উপনিষদ । এর আগে ঈশোপনিষদ আলোচনা প্রসঙ্গে আমরা এই উপনিষদটি থেকে জেনেছিলাম যে আত্মাকে জানাই হল প্রকৃত যজ্ঞ। জনক রাজার প্রশ্নের উত্তরে যাজ্ঞবল্ক জানিয়েছেন ব্রহ্মচর্যের পরে যদি মনে বৈরাগ্য আসে তাহলে গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থের পর্ব পালন না করে সরাসরিই প্রব্রজ্যা বা সন্যাস গ্রহণের বাধা নেই । ঋষি যাজ্ঞবল্ক অত্রিকে বলেছেন এ পথেই পরমাত্মাকে জানা যায়, এভাবেই আসক্তিশূন্য হয়ে পরমহংস হওয়া যায় । বলছেন , 'যতীনাং তদুপাদেয়ং পারহংস পরং পদম্" - যতি বা যোগী বা সন্যাসীরা এ পথেই পরম পদ বা ব্রহ্ম বিদ্যা লাভ করেছেন । এভাবেই আসে মুক্তি । উপনিষদের পাঠ থেকে আমরা ...