চর্যা 4
চর্যা 4
চর্যাপদের উপলব্ধির জন্য বৌদ্ধ সাধন পদ্ধতিগুলি উপলব্ধির প্রয়োজন । এই পদ্ধতিগুলি 'যান বা পথ । বুদ্ধ প্রচারিত ধর্ম নিয়ে বৌদ্ধ দের মধ্যে বিরোধ না থাকলেও তার নির্বাণ লাভের পদ্ধতি নিয়ে মত পার্থক্য হয়ে ক্রমশই হীনযান, মহাযান, বজ্র যান, সহজ যান ইত্যাদি সাধন পথের উদ্ভব ।
বৌদ্ধ দের মতপার্থক্য দূর করতে রাজগৃহে, বৈশালী, পাটলিপুত্র( অশোকের সময়) এবং কনিষ্কের সময় সবমিলিয়ে চারটি মহা সম্ম লন অনুষ্ঠিত হয় । একেকটা সম্মেলনের পরে একেকটা 'যান' এর উদ্ভব হয় ।
হীনযান -
এদের বিশ্বাস বুদ্ধ প্রদর্শিত পথেই অর্হৎ বা নির্বাণ লাভ সম্ভব । এই অর্হৎ লাভের চারটি স্তর ।
1. স্রোতাপন্ন - এ অবস্থায় পশু জন্মের ভয় দূর হয় ।
2. সকৃদাগামী - আর একটি মাত্র জন্ম বাকি ।
3. অনাগামী - আর জন্ম নয় ।
4. অর্হৎ
মহা যান - নিজের নির্বাণ লাভের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বের মুক্তি ভাবনা করা হয় । এর দুটি ভাগ
1. মাধ্যমিক - প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি র মাঝে মধ্য পথ ( শূন্য বাদ )
2. যোগাচার -
এই যো গা চার পালন করতে গিয়ে তিনটি পৃথক পথ সৃষ্টি হয়েছিল ।
1। বজ্র যান
2। কাল চক্র যান
3। সহজ যান
বাংলা তে মহা যান দের সাথে তান্ত্রিক আচার মিশ্রিত হয় 7-8 শতকে।
চর্যা তে সহজ যান এর কথা বলা হয়েছে । একে বুঝতে গেলে বাউল ফকির দের 'সহজিয়া ' সাধনা মাথা তে রাখতে হবে । সহজ যানী রা দেব দেবী, মন্ত্র তন্ত্র, আচার, জপ তপ কিছুই স্বীকার করে না । এমনকি বৌদ্ধ কৃচ্ছসাধন ও প্রব্রজ্যা এসব ও মানতেন না । তারা বলতেন,
" দেহ হি বুদ্ধ, বসন্ত না জান ই "
--- দেহে ই আছে বুদ্ধ বা পরম জ্ঞান । তারা বলেন শূন্যতা হল প্রকৃতি, করুণা হল পুরুষ । এই শূন্যতা - করুণা রূপ নারী - নরে র মিলনে যে মহা সুখ, তাই হল ধ্রুব সত্য । এর চরম সত্য এ পৌঁছে গেলে সকল কামনা র লুপ্তি ঘটবে । ভালো মন্দ, আত্ম -পর ভেদ বুদ্ধি দূর হবে । এটি ই হল সহজ অবস্থা।
চর্যাপদের উপলব্ধির জন্য বৌদ্ধ সাধন পদ্ধতিগুলি উপলব্ধির প্রয়োজন । এই পদ্ধতিগুলি 'যান বা পথ । বুদ্ধ প্রচারিত ধর্ম নিয়ে বৌদ্ধ দের মধ্যে বিরোধ না থাকলেও তার নির্বাণ লাভের পদ্ধতি নিয়ে মত পার্থক্য হয়ে ক্রমশই হীনযান, মহাযান, বজ্র যান, সহজ যান ইত্যাদি সাধন পথের উদ্ভব ।
বৌদ্ধ দের মতপার্থক্য দূর করতে রাজগৃহে, বৈশালী, পাটলিপুত্র( অশোকের সময়) এবং কনিষ্কের সময় সবমিলিয়ে চারটি মহা সম্ম লন অনুষ্ঠিত হয় । একেকটা সম্মেলনের পরে একেকটা 'যান' এর উদ্ভব হয় ।
হীনযান -
এদের বিশ্বাস বুদ্ধ প্রদর্শিত পথেই অর্হৎ বা নির্বাণ লাভ সম্ভব । এই অর্হৎ লাভের চারটি স্তর ।
1. স্রোতাপন্ন - এ অবস্থায় পশু জন্মের ভয় দূর হয় ।
2. সকৃদাগামী - আর একটি মাত্র জন্ম বাকি ।
3. অনাগামী - আর জন্ম নয় ।
4. অর্হৎ
মহা যান - নিজের নির্বাণ লাভের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বের মুক্তি ভাবনা করা হয় । এর দুটি ভাগ
1. মাধ্যমিক - প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি র মাঝে মধ্য পথ ( শূন্য বাদ )
2. যোগাচার -
এই যো গা চার পালন করতে গিয়ে তিনটি পৃথক পথ সৃষ্টি হয়েছিল ।
1। বজ্র যান
2। কাল চক্র যান
3। সহজ যান
বাংলা তে মহা যান দের সাথে তান্ত্রিক আচার মিশ্রিত হয় 7-8 শতকে।
চর্যা তে সহজ যান এর কথা বলা হয়েছে । একে বুঝতে গেলে বাউল ফকির দের 'সহজিয়া ' সাধনা মাথা তে রাখতে হবে । সহজ যানী রা দেব দেবী, মন্ত্র তন্ত্র, আচার, জপ তপ কিছুই স্বীকার করে না । এমনকি বৌদ্ধ কৃচ্ছসাধন ও প্রব্রজ্যা এসব ও মানতেন না । তারা বলতেন,
" দেহ হি বুদ্ধ, বসন্ত না জান ই "
--- দেহে ই আছে বুদ্ধ বা পরম জ্ঞান । তারা বলেন শূন্যতা হল প্রকৃতি, করুণা হল পুরুষ । এই শূন্যতা - করুণা রূপ নারী - নরে র মিলনে যে মহা সুখ, তাই হল ধ্রুব সত্য । এর চরম সত্য এ পৌঁছে গেলে সকল কামনা র লুপ্তি ঘটবে । ভালো মন্দ, আত্ম -পর ভেদ বুদ্ধি দূর হবে । এটি ই হল সহজ অবস্থা।
Comments
Post a Comment