Sandip manna 2

#ইতিহাস

ভারতীয় উপমহাদেশে আর্য জাতি তত্ত্ব (পর্ব - ২)
================================

১ম পর্বের লিংক -

https://www.facebook.com/groups/sukumarray/permalink/2349403625074983/

স্বর্গের ভাষা
----------------

কিন্তু স্বর্গের ভাষার কি হবে?

“The language of Paradise is no longer known. In the tower of Babel, where sounds and sense mingled, God struck Man with a state of forgetfulness for the first words acquired. The unity of a once immediate and translucent language was replaced by confusion from the plurality and opacity of numerous tongues. Was the language spoken in the original Garden that of the orient or occident, south or north, Hebrew or Flemish?" (Olender, M., ‘The language of Adam to the Pluralism of Babel’, 2008, pp. 51, PDF Edition.)

ইওরোপে, স্বর্গের ভাষা, হিব্রুভাষাকে অন্য সকল ভাষার উৎস বলেই এতদিন মানা হত। এমনকি, অষ্টাদশ শতকে ইওরোপিয়ান জাতি-রাষ্ট্রের উদ্ভব যে সকল ভাবনার ওপর গড়ে উঠেছিল, তার অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল হিব্রুভাষা থেকে সকল ভাষার উৎপত্তি এবং ফলশ্রুতিতে হিব্রুভাষার সঙ্গে অন্যান্য ভাষার 'জননী-কন্যা সম্পর্ক' ভাবনা। এই ভাবনা বহু-ভাষাভাষী মানুষকে একই জাতি-রাষ্ট্রের অধীনে আনতে সক্ষম হয়েছিল।

কিন্তু নিচের কারণগুলির জন্য এই স্বর্গের ভাষার পরিবর্তন চাওয়া শুরু হয়ে গেছিল -
১) মনুষ্য-উদ্ভব-জনিত বাইবেলীয় তত্ত্বের অসারতা ও বৈজ্ঞানিক চিন্তার প্রসার,
২) উৎসভাষা হিসাবে হিব্রুভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে 'প্রাচ্যের সেমেটিক-সংস্কৃতি বিরোধী পাশ্চাত্য পন্ডিতদের' অনেকদিনের তুমুল আপত্তি,
৩) ১৭৯৯ সালে ‘রোসেটা স্টোন’ আবিস্কারের ফলে প্রাচীন হায়ারোগ্লিফ ও ডেমোটিক লিপির সন্ধান।

কলকাতায় স্যার উইলিয়াম জোন্সের বক্তব্য সেই স্বর্গের ভাষার পরিবর্তন করার কাজ শুরু করল, বা বলা ভাল, শুরু করাটাই মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল, কেননা, তাঁকে তাঁর প্রভুরা সেরকমই নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ভাষা-সংস্কৃতি-জাতি তত্ত্ব
---------------------------------
তাহলে এটা বোঝা গেল, হিব্রু ভাষার পরিবর্তে নতুন 'জননী ভাষা'-র প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল এবং সকল সংস্কৃতি-সংযুক্ত একটি সম্মিলিত ভাবধারারও খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। আর তারই হাত ধরে “ভাষা-সংস্কৃতি-জাতি” (Language-Culture-Race) এই সাংঘাতিক তত্ত্বের উদ্ভব ঘটেছিল।

অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের প্রয়োজনে ইওরোপিয়ানদের ভাষাকে হাতিয়ার করা শুরু হয়ে গেছিল। শিল্প-বিপ্লবের বিস্তারে সস্তার খবরের কাগজের সুলভতা ও শিক্ষিত জনসাধারনের ক্রমবর্ধমানতা, ভাষার অভিন্নতা (জননী-কন্যা সম্পর্ক) তত্ত্বের তীব্রতার বৃদ্ধি ঘটাল। এমনকি ইওরোপের ক্ষেত্রেও যে এই তত্ত্ব কতটা প্রয়োজনীয় ছিল, তার প্রমাণ হল, গ্যারিবল্ডি যখন বিভিন্ন টুকরো-টাকরা এক করে ইতালি রাষ্ট্রের রূপরেখা তৈরি করছেন, তখন সেই রাষ্ট্রে ইতালিক ভাষায় কথা বলত মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ। তাহলে ইতালিক ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলা মানুষদের একই জাতি-রাষ্ট্রের অধীনে আনতে জননী-কন্যা সম্পর্কিত ভাষাতত্বের প্রয়োজন হয়েছিল। (পূর্ব-পাকিস্তানের ওপর জোর করে উর্দুভাষা চাপিয়ে দেওয়ার ফলাফলের কথা ভাবুন)।

ঔপনিবেশিক শাসনের জন্য সকল ভাষার উৎস হিসাবে ইওরোপের দেশগুলোর দরকার হয়ে পড়ল একটি ইওরোপ-ভিত্তিক জননী-ভাষা। জন্ম নিল ‘আদি ইন্দো-ইওরোপিয়ান ভাষা’ (Proto-Indo-European Language)।

জন্মের স্থান - ইওরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী-ঔপনিবেশিক মস্তিস্ক,
কাল - অষ্টাদশ শতকের শেষ ও ঊনবিংশ শতকের শুরু,
পাত্র - তাবৎ খাস ও আম আদমী।

এই আদি ভাষা থেকেই জন্ম দেওয়া হল কন্যাসম ভাষাগুলোর - আলবানীয়, আর্মেনীয়, বালতিক, হেল্লেনিক (গ্রিক), ইতালিক (লাতিন), জার্মানিক (গথিক), কেলতিক, স্লাভ, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য প্রভৃতি। শুরু হয়ে গেল তুলনামূলক ভাষাতত্বের মহা সম্মেলন। ফলত মা, মম, মাদ্রে, মায়ে, মামা, মাতঃ, আম্মা, উম্ম, মাতির, মানা প্রভৃতি একই পঙতিতে এসে গেলেন। অষ্টাদশ শতকের শেষে এই ভুবনগ্রাম তৈরির চেষ্টার সাবাশি না দিয়ে পারা যাচ্ছে না।

একটা মজার জিনিস লক্ষ্য করুন, ইওরোপের উপনিবেশ তৈরি হয়েছে যে যে জায়গায়, তাদের মধ্যে আমেরিকা, আফ্রিকা, ওশেনিয়ায় কিন্তু সরাসরি রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তুলনামূলক শিক্ষিত এশিয়ার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে, একধরনের ঔপনিবেশিক কূটনীতির প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানেও রক্তগঙ্গা বওয়ানো হয়েছে কিন্তু সঙ্গে থেকেছে আত্মপক্ষ সমর্থনের নামে ভন্ডামি।

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস বলে আমরা যা পড়ি, এটার মূল কাঠামো তৈরি করে গেছিল ব্রিটিশ প্রভুরা, একেবারে তাদের শাসন-শোষণ কাজের প্রয়োজনীয় করে। বাস্তবিকভাবে, ম্যাক্সমূলার ও সমসাময়িক পন্ডিতগণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে পেশ করলেন ঋগ্বেদ নিয়ে এক নতুন তত্ত্ব। ঋগ্বেদ রইল সবার মাথার ওপরে। কি ভাবে?

বহুদিন আগে, Proto-Indo-European Language থেকে উৎপত্তি হওয়া Indo-Aryan ভাষায় কথা বলা এক উন্নত, সভ্য জাতি বাইরে থেকে ভারতে এসেছিল। তারা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল নতুন ও বিশুদ্ধ বৈদিক ধর্ম, উন্নত সংস্কৃতি, উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত ভাষা (Indo-Aryan --> সংস্কৃত)। ভারতে বসবাস করা যে সব অসভ্য, বর্বররা তাদের শাসন মানতে চায়নি, তাদের কচুকাটা করেছিল সামরিক কায়দায়। অসভ্যদের দেশ ভারতে এসে তারাই প্রথম সভ্যতার আলো জ্বালিয়েছিল। এই 'তারা'-ই হল সভ্য, উন্নত, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ‘আর্য জাতি’।

বর্তমানে (ঊনবিংশ শতকে) ভারতে বসবাস করা সেই আর্য জাতির অবনতি ঘটেছে সর্বক্ষেত্রে, তাদের মধ্যে ঢুকেছে কুসংস্কার, রয়েছে অশিক্ষা, হয়েছে নৈতিক অবনতি। তাই সেই আর্যজাতির আর একদল উন্নত প্রতিনিধি বাইরে থেকে আবার এসেছে একইভাবে ভারতকে সভ্য করে তুলতে, সঙ্গে নিয়ে এসেছে নতুন ও বিশুদ্ধ খ্রিস্টান ধর্ম, উন্নত সংস্কৃতি, উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত ভাষা (ইংরাজী)। যে সকল অসভ্যরা এই নতুন সংস্কৃতি, শাসন মানতে চাইবে না, তাদের জন্য উপহার হিসাবে থাকবে চাবুক, সেই প্রাচীনকালের ধারা মেনে।

এখান থেকে তিনটে বিষয় আমরা পেলাম -
১) ঋগ্বেদ সংস্কৃত ভাষায় সংকলিত বহু প্রাচীন এক স্তোত্র-সংকলন, যা কিনা সংস্কৃত-পূর্ব Indo-Aryan ভাষায় রচিত এবং সংস্কৃত ভাষায় সংকলিত হওয়ার প্রায় হাজার বছর আগে থেকে গুরু-শিষ্য পরম্পরায় 'অবিকৃত ও মৌখিকভাবে রক্ষিত' ।
২) ঋগ্বেদ কখনই কোন কাব্যসাহিত্য বা Myth নয় বরং সেই সময়ের 'একমাত্র ঐতিহাসিক উপাদান', তাই স্তোত্রগুলি থেকে তৎকালীন সময়ের ইতিহাস রচনা করা যায়, এবং
৩) সেই ইতিহাস-ই হল ভারতের সভ্যতার শুরুর ইতিহাস। তার আগে ভারত ছিল অসভ্য, বর্বরদের দেশ।

১৯২২ সালে এসে ধ্বসে পড়ল এই তত্ত্ব। কেননা, শুরু হয়ে গেছে হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়োয় খননকার্য। ক্রমশ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে এক বিশাল নাগরিক সভ্যতার ইতিহাস, যা সর্বভাবেই ভারতীয়, যা আয়তনে বিশাল, যা অভাবনীয়। যদিও ঔপনিবেশিক প্রভুদের দ্বারা প্রাথমিকভাবে একটা চেষ্টা করা হয়েছিল, মিশর ও মেসোপটেমিয়ার লোকজন কোদাল, গাঁইতি কাঁধে করে নিয়ে এসে এবং সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি এনে হরপ্পার (সিন্ধু) নাগরিক সভ্যতা বানিয়ে দিয়ে গেছিল।

অতএব, ভারতীয় সভ্যতার শুরুর ইতিহাসের মাথায় পড়ল বাড়ি। সব প্রচেষ্টা হয়ে গেল ধ্বংশ।

অতঃকিম?

নতুন স্কিম।

ভাষাতত্ত্বের সঙ্গে পুরাতত্ত্বকে মেলাতে হবে।

বন্ধুগণ, আমরা যে ইতিহাস রচনা করেছি তা ঠিকই আছে, শুধু বিষয়টা হল গিয়ে 'আর্য জাতি' এসেছিল ঘোড়ায় চড়ে টগবগিয়ে। শুধু ঘোড়ায় নয়, ঘোড়ায় টানা রথে করে এসেছিল, হাতে ছিল লোহার তৈরি সাংঘাতিক সব অস্ত্র। তার আগে ভারতে বসবাস করা অসভ্য অনার্যরা কেউ লোহা ধাতুটা চোখেই দেখেনি, তারা তামার মতো নরম ধাতু ব্যবহার করতো। আর্য জাতি এসে অসভ্য, বর্বর দাস (দস্যু)- দের তৈরি করা কেল্লা ও নগর (পুর) ভেঙে, আগুন লাগিয়ে, তাদের চাবকে, তির মেরে সিধে করে দিয়েছিল। কেল্লা ভেঙে ভেতরে থাকা শহর ধ্বংশ করে দিয়েছিল বলে সেনাপতি ইন্দ্রের নাম হয়েছিল পুরন্দর। দেখুন লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলমেন, মহেঞ্জোদাড়োয় কতগুলো অনার্য কঙ্কাল পাওয়া গেছে তিরবিদ্ধ অবস্থায়। সুতরাং, আমদের ইতিহাস লেখায় কোন ভুল নেই। এবং জেনে রাখুন, ঠিক এভাবেই স্প্যানিশরা মেক্সিকো এবং পেরু জয় করেছিল, ইজরাইলীরা করেছিল প্যালেস্তাইনের জেরিকো জয়। এখন, তোমরা বাপু যদি আমাদের কথা না শোন, আমরাও তোমাদের এভাবেই চাবকে জয় করব।

সুখের বিষয় হল, আজ নয়, অনেকদিন আগেই প্রমাণ হয়ে গেছে এই ‘আর্য আক্রমণ তত্ত্ব’ (Aryan Invasion Theory) শুধুমাত্র ভুল নয়, ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের ফাঁস শক্ত করার জন্য একটি পরিকল্পিত ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্র (Planned Colonial Conspiracy)।

আর্য জাতি তত্ত্বের উদ্ভাবন
------------------------------------
১৮৪০ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের Academy of Science-এ Andres Adolph Retzius এক বক্তব্য রাখলেন। সেই বক্তব্যে তিনি জানালেন, শারীরিক গঠনের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আর্য জাতি চিহ্নিতকরণ করা যায়।

তিনি জানালেন, করোটি-সংক্রান্ত মাপজোকের তালিকায় করোটির দৈর্ঘের তুলনায় প্রস্থের অনুপাতই হল আসল কথা। অনুপাত ৮০ শতাংশের বেশি হলে সেই মানুষ প্রশস্ত মস্তক-বিশিষ্ট (Brachycephalic or Broad-headed), ৭৫-৮০ শতাংশ হলে মধ্যস্তরীয় মস্তক-বিশিষ্ট (Mesocephalic or Medium-headed), ৭৫ শতাংশের কম হলে দীর্ঘ মস্তক-বিশিষ্ট (Dolichocephalic or Long-headed)। দীর্ঘ মস্তক-বিশিষ্ট মানুষই হল শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং তাদের জাতিই শ্রেষ্ঠ জাতি। Proto Indo-European Language থেকে উৎপন্ন হওয়া বিভিন্ন কন্যা ভাষায় কথা বলা দীর্ঘ মস্তক-বিশিষ্ট মানুষরাই হল সেই শ্রেষ্ঠ আর্য জাতি এবং বর্তমান নর্ডিক মানুষদের পূর্বপুরুষ হল এই আর্য জাতি। ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে জাতিকে জুড়ে দিয়ে সুকৌশলে 'ভাষা-সংস্কৃতি-জাতি' তত্ত্বের প্রতিষ্ঠার কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে গেল।

এই বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য যোগ করা হল। যেমন, মুখ, চোখ, নাক, চোয়াল ও দাঁতের আকৃতি; ভ্রু-এর বাঁক, থুতনির গড়ন, হাতের আকার, শ্রোণীর ও ঊরুর গড়ন। এছাড়া ত্বকের, চুলের, চোখের রং, ঠোঁটের আকৃতি প্রভৃতি।

এই মাপজোকের পুরো উদ্দেশ্যটিই ছিল, জাতিগত (Racial) ধারনার দ্বারা উঁচু-নিচু ভেদাভেদ এবং সেই সূত্রে মানবসমাজে জাতিগত শ্রেণীবিভাগ। এই ‘মিথ্যা বৈজ্ঞানিক’ তত্ত্ব দিয়ে মানুষের মনে শ্রেষ্ঠ ও নিকৃষ্ট জাতি ধারণার দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে ‘divide and rule’ নীতির প্রয়োগে ইওরোপীয় ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের ভিত শক্ত করাই ছিল  মুখ্য উদ্দেশ্য।

এই তত্ত্বের করুণতম পরিণতি হল জার্মানীর নাজিদের দ্বারা। দুঃখের বিষয় হল Herrenvolk Theory-র প্রতিষ্ঠা ও য়িহুদীদের করুণ ইতিহাসেও এর সমাপ্তি হয়নি। তারপরেও আমরা আমাদের মনে 'শারীরিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জাতি' ধারণা পোষণ করে যাচ্ছি এবং তা সর্বসমক্ষে ও সগর্বে।

অতএব সবাই মিলে বলুন, হেইল হিটলার!

আজকের দিনে, জীববিদ্যা-নৃতাত্বিকগণ (Biological Anthropologists) জাতি তত্ত্ব (Racial Theory) স্রেফ বাতিলের পর্যায়ে ফেলে দিয়েছেন। জাতি তত্ত্ব উদ্ভাবনকে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, ‘omelette which corresponds to nothing in nature’ এবং এই তত্ত্বের কোন বাস্তব অস্তিত্ত্বই নেই ‘outside the statistical frying pan in which it has been reduced by the heat of the anthropological imagination.’ (Montague A (ed.), The concept of Race, 1994, London.)

কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইন্সটিটিউটের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তাঁদের তৈরি করা পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলছেন, ‘the people of India cannot be classified into a fixed set of ethnic categories based on anthropometric data.’ (Majumdar P.P. et al, Anthropometric Variation in India: A Statistical Appraisal, Current Anthropology, 31: 94-103, 1990.)

ক্রমশ...

৩য় পর্বের লিংক -

https://www.facebook.com/groups/sukumarray/permalink/2355077787840900/

১ম ছবি - A. Dolichocephalic

২য় ছবি - B. Brachycephalic

Comments

Popular posts from this blog

কঠোপনিষদ ২০

উপনিষদ পর্ব 1

মহাভারত শ্লোক