তৃতীয় বল্লী সূত্র ১৪ -১৭ ১৪। ' উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবোধত ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা ...' স্বামী বিবেকানন্দ এই মন্ত্রটি এযুগে বিখ্যাত করেছেন। তিনি বললেন, যমদেব-এরই কথা, 'ওঠো, জাগো। বরনীয় জ্ঞানীদের কাছে গিয়ে জ্ঞানপ্রাপ্ত হও। এই পথ অতি দুর্গম, ক্ষুরের ধারের মতো তীক্ষ্ণ, দুরতিক্রম্য। জ্ঞানী গণ এমনই বলে থাকেন। উপনিষদের এই মন্ত্রটির যে অনুবাদ প্রচলিত আছে, সেটির সম্পর্কে একটু আলোচনা করে নিতে হবে। বলা হল, ওঠো এবং জাগো। এখন প্রশ্ন হল দুট, ১। কোথা থেকে উঠবে ? কোথা থেকে জাগবে ? এবং ২। আগে উঠবে, পরে জাগবে ? তা কি হয় ? আমরা বলব, ১। অবিদ্যাতে সম্পৃক্ত জীবাত্মা যেন মোহনিদ্রায় আছে । সেখান থেকে উঠবে । অজ্ঞান নিদ্রা থেকে জাগ্রত হবে । ২। নিদ্রা ভাঙ্গলেও কতক সময় ঘোর লেগে থাকে। অনেক সময় পুনরায় নিদ্রা এসে যায়। তাই যমরাজ বলছেন, ওঠো এবং সজাগ হও। আর যেন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ো না। ' বরান্ ' -এই শব্দটির অর্থ নিয়েও আমাদের কিছু কথা আছে। বলা হচ্ছে 'বরনীয় জ্ঞানীদের কাছ...
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে । ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ।। (পূর্ণ হতে পূর্ণের সৃষ্টি । পূর্ণ থেকে পূর্ণ চলে গেলে পূর্ণ ই অবশিষ্ট থাকে ) An wonderful riddle. এক বন্ধুকে হঠাৎই একদিন জানিয়েছিলাম এই ধাঁধা। আজ জনসমক্ষে রাখছি । একটু সময় নিয়ে ভেবে দেখবেন,এই অনুরোধ করি । তার আগে একটু ব্যাখ্যা - ঈশাবাস্যোপনিষদ, যাকে সাধারণত সংক্ষেপে ঈশোপনিষদ বলা হয় , সেটি শুক্ল যজুর্বেদের কান্বশাখীয় সংহিতার 40 তম অধ্যায়। এর শুরুতে এটি পাওয়া যায় । বৃহদারন্যক - এ 5 ম অধ্যায়েও এটি পাওয়া যায় । আর একটু বিস্তারিত বললে বলা যায় যদিও বর্তমানে আমরা জানি বেদ চারটি কিন্ত আদিতে বেদ ত্রয়ী । অথর্ববেদ, যা প্রাচীন ভারতে মূলতঃ অসুর গোষ্ঠীর পূজ্য ছিল , সেটিকে না ধরে ঋক, সাম ও যজু, এই তিনটি বেদই দেব-ব্রাহ্মণবাদীদের কাছে পূজ্য ছিল । প্রতিটি বেদই আবার সংহিতা, আরণ্যক, ব্রাহ্মণ ও উপনিষদ এই চার ভাগে ছিল বিভক্ত । সংহিতায় মূল উপাস্য মন্ত্র, ব্রাহ্মণ ও আরণ্যকে উপাসনা পদ্ধতি...
অহন্যহনি ভূতানি গচ্ছন্তি যমমন্দিরম্ । শেষাঃ স্থিরত্বমিচ্ছন্তি কিমাশ্চর্য্যমতঃপরম্ ।। - প্রত্যহ শতশত জীব যমালয়ে যাচ্ছে দেখেও আমরা নিজেদের মৃত্যুর কথা ভাবছি না, এটা যুধিষ্ঠির কেন, আমার কাছেও আশ্চর্যজনক । কতো বিবর্তনের মধ্য দিয়ে কতো কর্মফল পার হয়ে এই মানব জনম । অথচ ভোগ এবং আরও আরও ভোগের প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই তো নজরে আসছে না । আর সেই ভোগের উপাচার জোটাতে মিথ্যা, ছলনা ও অনধিকার কার্যাবলী । ক্রমাগত বেশি বেশি প্রারব্ধের সঞ্চয় । আরও বেশি করে কর্মফল ভোগের বন্দোবস্ত । এই করতেই কি এসেছিলাম । হে অন্তরতম প্রভূ, সঠিক কর্ম করিয়ে নাও ।
Comments
Post a Comment