Posts

Showing posts from March, 2017

উপনিষদ পর্ব 1

  ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে   পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে ।      ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ।। (পূর্ণ হতে পূর্ণের সৃষ্টি । পূর্ণ থেকে পূর্ণ চলে গেলে পূর্ণ ই অবশিষ্ট থাকে )   An wonderful riddle.  এক বন্ধুকে হঠাৎই একদিন জানিয়েছিলাম এই ধাঁধা। আজ জনসমক্ষে রাখছি । একটু সময় নিয়ে ভেবে দেখবেন,এই অনুরোধ করি । তার আগে একটু ব্যাখ্যা -    ঈশাবাস্যোপনিষদ, যাকে সাধারণত সংক্ষেপে ঈশোপনিষদ বলা হয় , সেটি শুক্ল যজুর্বেদের কান্বশাখীয় সংহিতার 40 তম অধ্যায়। এর শুরুতে এটি পাওয়া যায় । বৃহদারন্যক - এ 5 ম  অধ্যায়েও এটি পাওয়া যায় ।   আর একটু বিস্তারিত বললে বলা যায় যদিও বর্তমানে আমরা জানি বেদ চারটি কিন্ত আদিতে বেদ ত্রয়ী ।  অথর্ববেদ, যা প্রাচীন ভারতে মূলতঃ অসুর গোষ্ঠীর পূজ্য ছিল , সেটিকে না ধরে ঋক, সাম ও যজু,  এই তিনটি বেদই দেব-ব্রাহ্মণবাদীদের কাছে পূজ্য ছিল ।     প্রতিটি বেদই আবার সংহিতা,  আরণ্যক, ব্রাহ্মণ ও উপনিষদ এই চার ভাগে ছিল বিভক্ত । সংহিতায় মূল উপাস্য মন্ত্র, ব্রাহ্মণ ও আরণ্যকে উপাসনা পদ্ধতি...

বৌদ্ধ দর্শন 10 শেষ পর্ব

  হিন্দু পুরাণ ও নানা বৌদ্ধ শাস্ত্রে বুদ্ধ বিষয়ক নানা তথ্য আছে । বর্তমানে গৌতম বুদ্ধের জন্ম 580  BC ধরা হলেও শক-জিছু-রোকু নামক জাপানি গ্রন্থ মতে উনি 1027 BC তে এবং এক চীনা গ্রন্থ মতে উনি 850 BC তে জন্ম গ্রহণ করেন ।    'বোধ' অর্থ জ্ঞান । যার বাহ্যিক বোধ জন্মায় তিনি হন বুদ্ধিমান । বোধ যদি আভ্যন্তরীন জ্ঞানের জন্ম দেয় তিনি হন বোধিসত্ত্ব । ইনিই চুড়ান্ত বোধ লাভ করলে হন বুদ্ধ ।   বৌদ্ধ শাস্ত্র মতে অনেক বুদ্ধ জন্মেছেন । ক্রুকছন্দ বুদ্ধ 3901 BC, কনকমুনি বুদ্ধ 2099 BC, কশ্যপ বুদ্ধ 1014 BC তে জন্মেছিলেন। গৌতম বুদ্ধের পরেও বুদ্ধ জন্মাবেন । ( ব্রহ্ম বিহার ও সমাধি প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে, যোগ শাস্ত্রে ধরা হয় আত্মা বা ব্রহ্ম প্রাণ ও অপান বায়ু দ্বারা জীবদেহে প্রাণের সঞ্চার করেন । যদিও প্রাণ, অপান,উদান,ব্যান ইত্যাদি 5 প্রকার এবং আরো সূক্ষ্ম ভাবে মোট 49 প্রকার বায়ুর ভাগ আছে, তবুও এককথায় বলা যায় সবগুলোই মূল প্রাণ বায়ুরই অংশ। এর দ্বারাই জীবের শ্বাস প্রশ্বাস চলছে । যে শ্বাস প্রশ্বাস বাইরে গতিশীল তাকে বহিঃপ্রাণায়াম এবং যা শরীরের ভেতরে চলে তাকে অন্তঃপ্রাণায়াম বলে । বেদে দু প্রকার প...

বৌদ্ধ দর্শন 9 প্রাক-শেষ পর্ব

     নহি বেরেন বেরাণি সম্মনতীধ কুদাচনম বুদ্ধ জানালেন পৃথিবীতে শত্রুতার দ্বারা শত্রুতাকে জয় করা যায় না । যায় মিত্রতা দ্বারা ।   তিনি বললেন,  মিথ্যা ভক্তি শিকল স্বরূপ । অন্যের প্রতি রাগ প্রদর্শন করবে না । অহিংসা হল মূল মন্ত্র । মনুষ্য জীবনে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হল বৈরাগ্য । সকলের সাথে সুর মিলিয়ে ধর্ম চাইলেই হবে না । তার জন্য চাই চেষ্টা ও ত্যাগ স্বীকার ।   বুদ্ধ এও বললেন,  পরকে পরাজিত করা অপেক্ষা নিজেকে জয় করাই শ্রেয়।   বললেন,  'অন্ত দীপা বিহরথ অন্তকরণ ....' - তোমরা নিজেরাই নিজেদের দীপ বা আশ্রয় স্থল। নিজেরাই নিজেদের শরণ হয়ে বিহার করো । ' বয়ধম্মা সঙ্ঘরা অপ্পমদেন সম্পাদেথ ' - সকল বস্তুই বিনাশশীল । প্রমাঘদহীন হয়ে বিহার করো ।   বুদ্ধ গৃহী দের জন্য  5 টি নিয়ম পালন করার কথা জানালেন - 1। অহিংসা 2। সত্য 3। অস্তেয় - না বলে অন্যের জিনিস গ্রহণ করা । 4। পবিত্রতা  ও 5। সংযম ।    সম্যক সমাধি ও ব্রহ্ম বিহার দুই ই সাধন পদ্ধতি । প্রথমটিতে চিত্ত বিমুক্তি হয়ে শূন্যতা লাভ হয় । ব্রহ্ম বিহারে চিত্ত প্রসারিত হয়ে অসীমে স্থিত হয় । দুই পথ...

বৌদ্ধ দর্শন ৮

          ' বিসংখার গতং চিত্তং তণহানং খরস অজঝগা '                    - সংস্কারমুক্ত চিত্তে আজ তৃষ্ণা ক্ষয় হয়ে গেছে ।     এবার বুদ্ধ এলেন কপিলাবস্তূ, তার জন্মভূমি। সেখানে ধর্মসভায় বললেন, এ বিশ্ব সৃষ্টি নিয়ে প্রশ্ন করা নিরর্থক। কারণ এ প্রশ্নের উত্তর আজ পর্যন্ত কোন মানুষ দিতে পারেনি। যা জানার প্রয়োজন তা হল কামনা-বাসনা থেকেই মানুষের জন্ম, আর এখানেই বন্ধনের উত্‌পত্তি।     মানুষের জন্ম হলে জরা-ব্যাধি এসব আসবেই। মানুষ ক্রমশই এসবের দাস হয়ে পড়ে। তারপর দীর্ঘ জীবন চলে বন্ধন, আকর্ষণ আর আধি-ব্যাধির সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম। এই সংগ্রামের অপর নাম জীবন। এরপর আসে মৃত্যু। তবে মৃত্যুই শেষ নয়। মৃত্যুর পরে আবার জন্ম। এভাবেই জন্মচক্র বা জন্ম-প্রবাহ প্রবাহিত হতে থাকে।     মানুষ তার নিজের বন্ধন প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করছে। এই বন্ধন ছেদের অস্ত্রও আছে তার নিজের কাছে।  এটাই বিচিত্র। এটাই কর্মচক্র। মানুষ তার কর্মের ফল্ভোগ নিজেই করে। যদি সে তার জন্মচক্রে বা জন্মপ্রবাহে আবদ্ধ থাকে তবে তার মুক্তি হতে পারে না। ...

বৌদ্ধ দর্শন ৭

                     " উর্ধ পূর্ণ মধঃ পূর্ণং মধ্য পূর্ণং যদাত্মকং                      সর্ব পূর্ণং স আত্মেতি সমাধিস্থস্য লক্ষ্ণম "    বুদ্ধ বললেন -              সব্ব দানং ধম্ম দানং জিনাতি              সব্বং রসং ধম্মরসো জিনাতি              সব্বং রতিং ধম্মরতি জিনাতি              তণহক খয়ো  সব্বদুকখং জিনাতি।    সকল দানের মধ্যে ধর্ম দান বিজয়ী। কারন ধর্ম দান হল সর্ব শ্রেষ্ঠ। সেরূপ সকল রসের মধ্যে ধর্ম রস, সকল রতির মধ্যে ধর্মরতি শ্রেষ্ঠ। আর যার তৃষ্ণা ক্ষয় হয়েছে সে সর্ব দুঃখকে পরাভূত করেছে।     বুদ্ধ আরো জানালেন -            আক্কোধেন জিনে কোধং আসাধুং সাধু না জিনে          জিনে কদারিয়ং দানেন সচ্চে নালিক বাদিনং।    আর্থাত্‌ ক্রোধকে অক্রোধ দ্...

বৌদ্ধ দর্শন 6

     'সর্বং অনিত্যম্ সর্বং অনাত্মম্ সর্বং ক্ষণিকম্' সকলেই অনাত্মীয়, সকলই অনিত্য, আর সব কিছুই ক্ষণিকের ।    অরূণকান্তি সাহা মহাশয় তার 'অমিতাভ বুদ্ধ ' নামক গ্রন্থে বুদ্ধের অষ্টাঙ্গ মার্গ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন ।    বুদ্ধ কাশী থেকে মগধের রাজা বিম্বিসারের আমন্ত্রণে রাজগৃহ তথা বর্তমান রাজগীরে এলেন । বুদ্ধত্ব লাভের পূর্বে এক বিশেষ সাধনার কাল তিনি এখানে অতিবাহিত করেছেন । এখানেই বুদ্ধ তার ধর্ম প্রচারের দ্বিতীয় সভাটি করলেন । তিনি বললেন দুই অন্ত বর্জনীয় । অনর্থক ভোগ ও অনর্থক দেহ নির্যাতন । তিনি 'মজঝিম পন্থা ' বা মধ্যবর্তী পথের কথা জানালেন । তিনি বললেন যে - ' এই পথে দৃষ্টিলাভ হয়,  জ্ঞান লাভ হয়, প্রাণ প্রশান্ত হয়, অভিজ্ঞ, সম্বোধ ও নির্বাণ লাভ করা যায় '।  এরপর তিনি মধ্যম পথের অষ্টাঙ্গ মার্গের কথা খানিক বিশদে জানালেন । 1। সম্যক দৃষ্টি - দুঃখ কি, দুঃখের উৎপত্তি কি প্রকারে হয়, দুঃখের নিরোধ কি ও তা কি প্রকারে হয়,  এই সমুদয় জ্ঞানের নাম সম্যক দৃষ্টি । 2। সম্যক সংকল্প - নৈষ্কাম্য,  অবিশ্বাস ও অহিংসা; এই সমুদয় বিষয়ে সংকল্পের নাম সম্যক সংকল্...

বৌদ্ধ দর্শন 5

   আমাদের চক্ষু দর্শন করে, কর্ণ শ্রবণ করে । সম্যক অনুধাবন করলে আমরা দেখব প্রকৃতপক্ষে চক্ষু বা কর্ণ দর্শন বা শ্রবণ করে না,  এ সমুদয় কর্ম করে দেহের কেন্দ্রগত কোন শক্তি যা সাধারণত আমরা brain work বলে ধরে নিই, আসলে আমাদের মধ্যে প্রবাহিত এক চেতন শক্তি,  যা কিনা বিশ্বময় প্রবাহিত চেতন জগতের এক অংশস্বরূপ । অচেতন বা মনোবিকারগ্রস্থ অবস্থায় চক্ষু দেখলেও আমরা দেখি না, কর্ণ শ্রবণ করলেও আমরা শুনি না ।      জীবের মধ্যে প্রবাহিত এই চেতন শক্তিকে আমরা আত্মা বলে ধরে নিতে পারি । আত্মার সহিত সংযোগ না থাকলে চক্ষু দেখে না,  কর্ণও শ্রবণ করে না । চক্ষুর দৃষ্টিশক্তি বা কর্ণের শ্রবণশক্তি জীবের চক্ষু বা কর্ণে নেই,  তা জীবের আত্ম চৈতন্যে অধিষ্টিত।        চক্ষু -কর্ণাদি কর্ম জীবের আত্ম চৈতন্য দ্বারা উপলব্ধ  হলেও মানুষ তার  স্ব-ইচ্ছায় নিজস্ব বিচার বুদ্ধি দ্বারা এদের  নিয়ন্ত্রিত করতে পারে ।  চাইলে কোন ব্যাক্তি কয়েক ঘন্টা চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে । শ্বাস প্রশ্বাস  রূপ কর্ম জীবের বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় । চাইলে  কেউ দশ ম...

বৌদ্ধ দর্শন 4

          আমরা আগেরদিন দেখেছিলাম মানুষের দুই সত্তা, ব্যবহারিক ও পারমার্থিক। ব্যবহারিক সত্তার ক্রমশঃ বিনাশের মাধ্যমে পারমার্থিক সত্তার বিকাশ হয়। আমরা আলোচনা করেছিলাম যে দিনের আলোয় অপ্রকাশিত থাকলেও দিবাবসানের সাথে সাথে চন্দ্র-নক্ষত্রাদির প্রকাশ ঘটে।        একজন বন্ধু এক বিশেষ কথা জানিয়েছেন যা আলোচনা যোগ্য । ব্যবহারিক সত্তা থাকাকালীন পারমার্থিক সত্তার ঝলক দেখা যেতে পারে । তিনি অত্যন্ত কার্যকরী উদাহরণ দিয়েছেন । বলেছেন সূর্যগ্রহণ হলে দিবাভাগেই চন্দ্র - নক্ষত্রের দর্শন পাওয়া যায় ।        প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে বলা হয়েছিল এভাবে সূর্যগ্রহণ তথা পারমার্থিক সত্তার প্রকাশ হওয়াটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা নয়, দৈব ঘটনা, ব্যক্তির জীবনের স্বাভাবিক বিকাশ নয় । আর্ত বা মুমুক্ষু মানুষ কোনোভাবেই এক্ষেত্রে ব্যবহারিক থেকে পারমার্থিক সত্তার বিবর্তনকে প্রভাবিত করতে পারে না । ঋষি মহাপুরুষেরা যোগাদি নানা অভ্যাসের প্রক্রিয়ার দ্বারা এই বিবর্তনকে যেভাবে ত্বরান্বিত করতে পারেন সূর্যগ্রহণ রূপক পারমার্থিক ঝলকানিতে এটি সম্ভব নয় ।       ...

বৌদ্ধ দর্শন 3

    ব্যবহারিক সত্তার বিনাশে পারমার্থিক সত্তা উৎপন্ন হয় না, প্রকাশিত হয় মাত্র এই কথাটি একটু বুঝে নিতে হবে । আসলে পারমার্থিক সত্তাটি থাকেই । যেমন দিনের বেলা সূর্যের আলোয় তার থেকেও বড় ও শক্তিশালী নক্ষত্রেরা নজরে পড়ে না, কিন্তু দিনান্তে তারা প্রকাশিত হয়, তেমনটি । আবার ব্যবহারিক সত্তার সম্পূর্ণ বিনাশ না হলে পারমার্থিক সত্তা প্রকাশিত হবে না বুদ্ধ যে এমনটা বললেন, এটিও বিচার না করে গ্রহণ করা যাচ্ছে না । যেমন বিকাল বা সন্ধ্যাকালে চাঁদ বা নক্ষত্রেরা আবছা ভাবে ক্রমশ প্রকাশিত হতে থাকে তেমনই একটি সান্ধ্য ক্ষণ আসতে পারে যখন ব্যবহারিক ও পারমার্থিক সত্তা দুটোরই অনুভব হতে পারে ।    আবার ভেবে দেখা যেতে পারে ব্যবহারিক সত্তার বিনাশ হলেই কি নিশ্চিত ভাবেই পারমার্থিক সত্তা প্রকাশিত হয় ? বুদ্ধ এ বিষয়ে কিছু বলেন নি । রাতে যদি মেঘলা আকাশ থাকে তাহলে কি তারা দেখা যাবে ?  ব্যবহারিক সত্তা অস্তমিত হলে আসতে পারে সমাজ আরোপিত ভ্রান্তি । সংশয়ের কালো মেঘ । সত্য দর্শনকে মনে হতে পারে মনোবিকার ।     বুদ্ধ কিছু বলেননি ।   তবে একথা চরম সত্য যে ব্যবহারিক সত্তা প্রবল থাকলে পারমার্থিক ...

বৌদ্ধ দর্শন 2

   সত্যকে উপলব্ধি করার পর গৌতম বুদ্ধ তার পূর্ব পরিচিত উরুবিল্বের পাঁচ সন্ন্যাসীর সন্ধানে কাশী এলেন । তাদের আয়োজিত সভায় বুদ্ধ প্রথম ভাষণ দিলেন । তিনি বললেন -   শাস্ত্র পাঠে মানুষ জ্ঞানী হতে পারেন। কঠোর সংযম ও সাধনা মানুষকে আত্মশুদ্ধি দিতে পারে । কিন্তু দিব্য জ্ঞান দিতে পারে না । মানুষকে নিতে হবে মধ্য পথ বা 'মজঝিম পন্থা '। সেখানে সাধনা আছে,  নেই কোন কঠোরতা ।  বুদ্ধ সেখানে প্রথম আটটি নীতির কথা বললেন । যথা -  1। সৎ শ্রদ্ধা - নিজেকে অক্ষম মনে করা পাপ । নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে ।  2। সৎ সংকল্প - আদর্শ মহৎ হবে । সংকল্প হবে অটল।  3। সৎ বাক্য - বাজে কথা না বলা এর অন্তর্গত।  4। সৎ অনুষ্ঠান - আদর্শ নিষ্ঠ ও স্থিতপ্রজ্ঞ ।  5। সৎ জীবন - জীবনের সব কাজে সংহতি রক্ষা ।  6। সৎ উদ্যম - আদর্শ রূপায়ণে উদ্যম ।  7। সৎ চিন্তা  - ক্রমাগত সৎ ভাবনা ।  8। সৎ সমাধি - এমন অবস্থা যেখানে চিন্তা, কথা ও কাজে সামঞ্জস্য রক্ষিত হবে ।   বুদ্ধ নির্বাণ লাভের কথা বললেন । মানুষের দুই সত্তা । ব্যবহারিক ও পারমার্থিক সত্তা । বুদ্ধ বললেন ব্যবহা...
                     ।।  বৌদ্ধ দর্শন  1 ।।   ধর্ম  (religion নয়) আলোচনায় বিশুদ্ধ সমুত্থান (সমভাবে উত্থিত বা কুশল যুক্ত) চিত্তের প্রয়োজন । লেখক বা বক্তার যশ, ধনোপার্জন, ঈর্ষা, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি ভাবনা এবং পাঠক বা শ্রোতার নিন্দা, প্রশংসা, যশ-অপযশ ইত্যাদি ভাবনা থাকলে তা কুশল বা সমুত্থিত নয় ।     তাহলে আমি যে মাঝে মধ্যেই ধর্ম আলোচনায় নিযুক্ত হচ্ছি এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করছি প্রশ্ন হতে পারে এর উদ্দেশ্য কি  ?     এর উত্তর বৌদ্ধ দর্শনের অন্তর্গত 'প্রতিত্যসমুৎপাদ দর্শন ' এ পাওয়া যাবে । তিব্বতী ভাষায় একে 'তেন-ডেল' বলে । 'তেন' অর্থ সাপেক্ষ হওয়া বা আশ্রিত বা নির্ভরশীল হওয়া । 'তেন - ডেল' বা প্রতিত্যসমুৎপাদ -এর অর্থ হল ' পরস্পর নির্ভরশীলতা এবং সংযোগের ফলে উৎপন্ন হওয়া । এককথায় পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া । আরো ভালো রবি ঠাকুরের ভাষায় -     'একাকী গায়কের নহে সে গান      মিলিতে  হবে দুইজনে (গায়ক ও শ্রোতা )       একজন গাবে খুলিয়া গলা  ...
                      জ্ঞান গঞ্জ    'গিরিজা ' থেকে কয়েক বছর আগে প্রকাশিত হল 'তিব্বতের রহস্যময় যোগ তন্ত্র ' 1ম ও 2য় খন্ড । নানা রহস্যময় কাহিনীসহ আত্মকথা লিখলেন দেবদীপ । সেখানে আবার জানা গেল 'জ্ঞান গঞ্জ ' এর কথা । এর আগে গোপীনাথ কবিরাজ, রাম ঠাকুর, বিশুদ্ধানন্দ মহারাজ এর আলোচনা প্রসঙ্গে এ স্থানের নাম জানা ছিল আগ্রহী জনদের।     'জ্ঞান গঞ্জ ' 3 dimension বহির্ভূত এক চতুর্থ আয়াম স্তর, যা হিমালয়ের গোপন স্থানে অবস্থিত। উচ্চ যোগীদের নিবাস। তাদের অনুগ্রহ লাভ করলে শুধু যাওয়া যায় ।       প্রমোদ চট্টোপাধ্যায় এমনই এক মরকৎ রাজ্যের কথা বলেছিলেন 'গঙ্গোত্রী যমুনোত্রীর উৎস সন্ধানে ' গ্রন্থে । উনি সেখানে আচমকাই একজনের কৃপায় চলে গেছিলেন ।      সাধকদের সাধনার বলে উচ্চ তরঙ্গ দ্বারা সুরক্ষিত স্থান পৃথিবীতে আরও আছে । ওশো রজনীশ আরবদেশে 'আল কুফা ' নামক সুফি সাধকদের এক গুপ্ত স্থানের কথা বলেছেন, যার নাম শোনা গেলেও সাধারণ মানুষের অগম্য, খুজেই পায় না ।       প্রত্যেক তীর্থ স্থানেই বাহ্যিক মঠ-...

শুরু

Only checking Rajot ..রজত..