বাংলা ভাষা

।। সহকর্মী বন্ধু - অগ্রজ সাইরূল বাবুর কথার উত্তরে ।। ( আগ্রহী জনের মতামতের জন্য )
সংস্কৃত কখনও কথ্য ভাষা ছিল না ।
কথ্য ভাষাগুলিকে ( কাছাকাছি মিল যুক্ত ) সংস্কার করে শিক্ষিতজনের ভাষা, (সংস্কার থেকে সংস্কৃত নাম) রূপে সংস্কৃত চালু হয় ।
বাংলায় যেমন রামমোহন গদ্য রূপ দিলেন বাংলা ভাষার । তার আগে সমস্ত বাংলা সাহিত্য পদ্যরূপে পাওয়া যায় । অবশ্য পদ্যে লেখাই ভারতীয় সংস্কৃতি । ওনার আগে কি বাঙালি বাংলায় কথা বলতো না ? তখন নানা স্থানীয় variation এ বলতো ।
কলকাতার শহুরে বাঙালি 'হুতোম ' -এর ভাষায় বলতো ।
সাধু বাঙলা চর্চা করতে করতে শহুরে বাঙালির মুখের ভাষাও পরিশিলীত হল । এক ঢাকা - কলকাতাইয়া ভাষার জন্ম হল । গ্রাম বাংলার মানুষ কি এ ভাষায় কথা বলে ? মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, শিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর এমনকি হুগলি- হাওড়া র ( কলকাতার কাছেই ) গ্রামেও নানা শব্দ, নানা অপভ্রংশ, নানা উচ্চারণ ভঙ্গি চলে । কিন্তু সেই মানুষগুলোই লেখার সময় শহুরে ভাষায় লেখে । বিদেশি কেউ বাংলা literature পড়ে কি বুঝতে পারবে এই বৈচিত্র্য ?
এভাবেই 3000 বছর আগেও ভারতে কথ্যরূপ ছিল । পালি, প্রাকৃত, মাগধী ইত্যাদি স্থানভেদে নানা নাম ছিল ।। ভালো করে দেখলে সংস্কৃতের সাথে মিল পাওয়া যাবে । লিখিত ভাবে সংস্কৃত চালু ছিল । বুদ্ধের প্রবচণগুলি কথ্য ( গুরু বাক্য বলে) কথ্যভাষাতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল ।
সাধারণ মানুষ কঠিন ব্যাকরণ নির্ভর সংস্কৃত চর্চা করতেন না ।
বুদ্ধ সকলের বোঝার জন্য মুখের ভাষাই ব্যবহার করেছিলেন ।
( বুদ্ধ ছিলেন করুণা, প্রেম, মৈত্রী র প্রতীক । চ্যাপলীনের কথাটা প্রাসঙ্গিক মনে হল )

Comments

Popular posts from this blog

কঠোপনিষদ ২০

উপনিষদ পর্ব 1

মহাভারত শ্লোক