বুদ্ধ উবাচ

বুদ্ধ বলছেন
' ন চাহু ন চ ভবিস্সতি ন চেতরহি বিজ্জতি
একন্তং নিন্দিতো পোসো একন্তং বা পসংসিতো ।
- একান্ত নিন্দিত বা একান্ত প্রশংসিত কোনও পুরুষ অতীতে ছিল না, এখনও নেই,  ভবিষ্যতেও হবে না । তিনি তার শিষ্য অতুলকে বলছেন যে পৃথিবীতে অনিন্দিত কেউ নেই ।
' কস্মারো  রজত স্সেব নিদ্ধবে মলমত্তনো ।
অনুপুব্বেন মেধাবী থোকথোকং খনে খনে ।"
- যেমন কর্মকার রজতের  ( আহা , কি দ্যার্থক !!) মল নিষ্কাষণ করে,  মেধাবী  ( হতে পারছি কই  ) তেমনই ক্ষণে ক্ষণে তার মনের মল ক্ষালন করবেন  ( একদিন না একদিন পারতেই হবে বন্ধু  )।
    এরপরেই  ধর্মপদ যা বলছেন একই কথা মহাভারত ও বলছে । জানিনা কোনটি আগে । কারণ মহাভারত প্রথমে 24 হাজার শ্লোকে রচিত হয় । পরে যা বর্ধিত হয়ে হয়ে 1 লক্ষ হয় ।
' অক্কোধেন জিনে কোধং অসাধুং সাধুনা জিনে
জিনে কদরিয়ং দানেন সচ্চেন অলিকবাদিনং।।
 -ধম্মপদ
   "অক্রোধেন জয়েৎ ক্রোধং অসাধুং সাধুনা জয়েৎ
জয়েৎ কদর্যং দানেন জয়েৎ সত্যেন চানৃতং "
- উদ্দোগপর্ব,  মহাভারত
 - অক্রোধ দ্বারা ক্রোধকে , সাধুতা দ্বারা অসাধুতাকে , দান দ্বারা কৃপনকে আর সত্য দ্বারা অসত্য কে জয় করবে ।
  এতো কিছু পড়লাম,  লিখলাম, বুঝতে চেষ্টা করলাম । কিন্তু পারলাম কই ।
    এ তখনই বোধ হয় পারা সম্ভব তখন তৃষ্ণা বা তণহা থেকে মুক্ত হতে পারব ।  কারণ বুদ্ধ বলছেন,
 ' তসিণায় পুরকখতা পজা ...
   সঞঞোজনসঙগসত্তকা দুকখমুপেন্তি পুনপ্পুনং চিরায় "
- তৃষ্ণা জড়িত জীব পাশবদ্ধ শশকের ন্যায় ধাবিত হয় । সেই বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পুনঃপুনঃ  দুঃখ প্রাপ্ত হয় ।
    অতএব আমার দুঃখের কারণ আমি নিজেই । আমার তৃষ্ণা আমাকে ছোটাচ্ছে ।
'ভিকখু আকঙখী বিরাগমত্তনো '
- আকাঙ্খা হতে বিতরাগ  হতে হবে ।
   বুঝলাম । তবে বুঝলাম কি  ?  হয়তো বুঝব কোনও একদিন । হয়তো পারবোও  কোনও একদিন ।
  

Comments

Popular posts from this blog

কঠোপনিষদ ২০

উপনিষদ পর্ব 1

মহাভারত শ্লোক