Posts

Showing posts from 2018

ঋষভ দেব

ইনি জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থংকর ঋষভ দেব । শিবপুরাণে পাওয়া যাচ্ছে মুন্ডন অসুর দের মধ্যে যাগ -যজ্ঞ বিহীন ধর্মাচরণ প্রচার করেছিলেন । মহাদেব তাকে বলেছিলেন যে কলিযুগে তারাই হবেন জৈন ধর্ম প্রচারক । আবার ভাগবতে দেখছি স্বায়ম্ভূব মনুর ভাই প্রিয়ব্রত বংশের রাজা ঋষভ রাজত্ব ছেড়ে তপস্যা শুরু করেন ও অজগর বৃত্তি নেন । হয়তো ইনিই হলেন প্রথম জৈন তীর্থংকর । জৈন ধর্মও ঈশ্বর বিষয়ে আগ্রহী নয় । কর্ম আর কর্ম-বন্ধন। প্রারব্ধ কর্মফল এখানেও আছে । জীব কর্মবন্ধন শেষ করলেই মুক্ত হতে পারেন  । ( 1 লা বৈশাখের 3 দিনের মধ্যে অক্ষয় তৃতীয়া যোগ স্মৃতিতে আসছে না )। যাহোক, পূণ্য তিথী তে প্রার্থনা করি সকলেই মুক্তি র আস্বাদন লাভ করুক । (Pic from  Saibal Ramsharma  ' s post ) ( addendum - না জেনেই post করেছিলাম । অক্ষয় তৃতীয়া

ভোগ ও ভোক্তা

 ভোগাঃ ন ভুক্তাঃ বয়মেব ভুক্তাঃ। তৃষ্ণা ন জীর্ণা বয়মেব জীর্ণাঃ।। " " ভোগ আমরা করি না, ভোগই আমাদের ভোগ করে। তৃষ্ণকে আমরা ক্ষয় করতে পারি না ; তৃষ্ণাই আমাদের জীর্ণ শীর্ণ করে। " ( ভোগই আমাদের ভোগায় । তৃষা ক্ষয় না হয়ে বৃদ্ধি পেয়ে আমাদেরকেই ক্ষয় করে )

অসুরপুর

গ্রামের নাম : অসুরালয় । সেখানে 'অসুর ডাঙ্গার ঢিবি '।  বীরভূম জেলার মল্লারপুরের পারচন্দ্রহাট । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব খনন । 3500 বছরের পুরাতন বসতি ও craft. .. লোককথায় এটিই মহাভারতের বকাসুরের আস্তানা । নিকটেই 'কোটাসুর'। সেখানেও প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন মিলেছে । (আনন্দ বাজার 15/4/18)। হিন্দু -মুসলিম -বৌদ্ধ -জৈন সভ্যতা -সংস্কৃতির পূর্বে এই বাংলা আসলে অসুর সংস্কৃতির আলয় । যার সাথে সিন্ধু সভ্যতার যোগ ছিল একদা ।

jainism

Attachment and aversion are the root cause of karma, and karma originates from infatuation. Karma is the root cause of birth and death, and these are said to be the source of misery. None can escape the effect of their own past karma.-Mahavir Swami Jiva Ajiva Asrava  Bandha  Sarvara Moksha

bipasana

র্ষপূর্তি তে প্রণবদা কে ) 12 সালে কল্লোল দার মাধ্যমে সন্ধান পেয়ে করে ফেললাম 12 দিনের বৌদ্ধ সাধনা কোর্স । কেমন জানি মনে হতো কোনও এক জন্মে বৌদ্ধ ছিলাম । সে এক 12 দিনের মৌন - সাধনা । দৈনিক 12 ঘন্টার ধ্যান । সাধন পদ্ধতি বার্মা থেকে আগত । কলিগ বন্ধু পার্থ পৌছে দিয়ে এলো । 12 দিন সমস্ত জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন এক সাধনা । হীনযান থেরবাদী সাধনা । জগৎ অনিত্য , এই বোধের সাধনা । যেদিন বেড়িয়ে এলাম সে এক অন্য আমি । 5-6 বছর ধরে তার পর বৌ দ্ধ তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করেছি । খানিকটা যেন বুঝেছি । তৃষা কাটলে নির্বাণ । তবে নিজ তৃষা মিটলেই সকল কর্ম ফল শেষ হয় না । এর পরে থাকে অপরের আমার প্রতি তৃষাজনিত রাগ -অনুরাগ-ঘৃণা রূপ চাওয়া পাওয়া । বৌদ্ধ মতের এই অসম্পূর্নতা ( আমার বোধে ) কাটাতে সাংখ্য দর্শন পড়েছি । দেখেছি হাতির মতো প্রারব্ধ কর্মফলের বোঝা নিয়ে বেচে আছি । নিউটনের তৃতীয় সূত্র চেতন জগতেও সত্য । আমার প্রতিটি কর্মের ফল হল আমার কর্মফল । যে বোধ নিয়ে কর্ম করছি তার উপরে ফল । হয় প্রারব্ধ বাড়ছে , নয় কমছে । বিচার একটু কঠিন । পালাবার পথ নেই । face করতেই হবে । আজ নেহি তো কাল । তবে গিয়ে মুক্তি । আর ততোদিন সাধন চলতে থাকুক ।।

2018/2/buddha

।। বুদ্ধ ও কর্মফল ।। ( দুই অগ্রজ ও শুভাকাঙ্খী -এর কথায় লিখিত ।) " অত্তনাব কতং পাপং অত্তনা সঙ্কিলিস্সতি অত্তনা অকতং পাপং অত্তনাব বিসুজ্ঝতি । সুদ্ধি অসুদ্ধি পচ্চত্তং নাঞঞো অঞঞং বিসোধয়ে ।। " আত্মনৈব কৃতং পাপং সংক্লিশ্যতি তথাত্মনা আত্মনৈবাকৃতং পাপমাত্মনৈব বিশুদ্ধতি ।।" - নিজকৃত পাপ ক্লেশ এবং অনিজকৃত পাপ বিশোধিত করে । শুদ্ধি অশুদ্ধি নিজের নিজের, কেউ কাউকে করাতে পারে না । যদি কর্ম আমি আমার তৃষ্ণা থেকে করি, তাহলে সে কর্মফল ক্লেশ প্রদান করবে । যদি আমার কৃত কর্ম আমার বর্তমান তৃষ্ণা জাত না হয়, সে কর্ম আমাকে বিশুদ্ধ করবে । আমি আমার কর্ম দ্বারা আবদ্ধ হচ্ছি, না মুক্ত হচ্ছি সেটা আমার হাতে । অন্য কেউ আমাকে যুক্ত বা মুক্ত করতে পারে না ।

nirban

। নির্বাণ ।। 'নির্বা' থেকে 'নির্বাপণ ' ও 'নির্বাপিত' হওয়া যেমন প্রদীপ নিভে যাওয়া এমন একটা অর্থে 'নির্বাণ ' শব্দটিকে বোঝার চেষ্টা করেছি আগে । কিছুদিন আগে কুলাবধূত (গ্যাংটক বাবা র ) জির কাছে শুনলাম নিঃ + বাণ = নির্বাণ । অর্থাৎ 'নিভে যাওয়া' অর্থে নয়, বাণ হতে মুক্ত অবস্থা হল নির্বাণ । সাংখ্য গুরু ( কপিল আশ্রম ) হরিহরানন্দ আরণ্য ' ধম্মপদ ' ( শাস্ত্র আলোচনায় সব শাস্ত্র ই বিবেচ্য ) আলোচনাতে বলছেন, বাণ হল তৃষ্ণা । সেই তৃষ্ণা থেকে মুক্ত অবস্থা হল নির্বাণ । এই নির্বাণ হল এক অবস্থা। সব শেষ হয়ে যাওয়া নয় । যা নির্বাপিত হলে হয় । এখন সাধারণ মানুষ আমরা তৃষ্ণা হীন অবস্থা সঠিক অনুধাবন করতে পারি না । বুদ্ধ কোনও ঈশ্বরের কথা বলেননি । অস্বীকার ও করেন নি । কেউ প্রশ্ন করলে নীরব থাকতেন । তাহলে নির্বাণ লাভ হলে কি হবে ? হবে দুঃখ হতে মুক্তি । আর যদি কেউ মুক্ত হতে না চায় ? তাহলে বারবার এই জীবন সংসারে ভ্রমণ । এখন কথা হলো, এই ভ্রমণ শেষ হলে কি হবে ? আসুন , অন্বেষণ করি । করুণাময় বুদ্ধের শরণ নিলাম ।

2018/ buddha

বুদ্ধ উবাচ  March 18, 2018 বুদ্ধ বলছেন ' ন চাহু ন চ ভবিস্সতি ন চেতরহি বিজ্জতি একন্তং নিন্দিতো পোসো একন্তং বা পসংসিতো । - একান্ত নিন্দিত বা একান্ত প্রশংসিত কোনও পুরুষ অতীতে ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও হবে না । তিনি তার শিষ্য অতুলকে বলছেন যে পৃথিবীতে অনিন্দিত কেউ নেই । ' কস্মারো রজত স্সেব নিদ্ধবে মলমত্তনো । অনুপুব্বেন মেধাবী থোকথোকং খনে খনে ।" - যেমন কর্মকার রজতের ( আহা , কি দ্যার্থক !!) মল নিষ্কাষণ করে, মেধাবী ( হতে পারছি কই ) তেমনই ক্ষণে ক্ষণে তার মনের মল ক্ষালন করবেন ( একদিন না একদিন পারতেই হবে বন্ধু )। এরপরেই ধর্মপদ যা বলছেন একই কথা মহাভারত ও বলছে । জানিনা কোনটি আগে । কারণ মহাভারত প্রথমে 24 হাজার শ্লোকে রচিত হয় । পরে যা বর্ধিত হয়ে হয়ে 1 লক্ষ হয় । ' অক্কোধেন জিনে কোধং অসাধুং সাধুনা জিনে জিনে কদরিয়ং দানেন সচ্চেন অলিকবাদিনং।। -ধম্মপদ "অক্রোধেন জয়েৎ ক্রোধং অসাধুং সাধুনা জয়েৎ জয়েৎ কদর্যং দানেন জয়েৎ সত্যেন চানৃতং " - উদ্দোগপর্ব, মহাভারত - অক্রোধ দ্বারা ক্রোধকে , সাধুতা দ্বারা অসাধুতাকে , দান দ্বারা কৃপনকে আর সত্য দ্বারা অসত্য কে জয় করবে । এতো কিছু পড়লাম, লিখলাম,...

বাংলা ভাষা

।। সহকর্মী বন্ধু - অগ্রজ সাইরূল বাবুর কথার উত্তরে ।। ( আগ্রহী জনের মতামতের জন্য ) সংস্কৃত কখনও কথ্য ভাষা ছিল না । কথ্য ভাষাগুলিকে ( কাছাকাছি মিল যুক্ত ) সংস্কার করে শিক্ষিতজনের ভাষা, (সংস্কার থেকে সংস্কৃত নাম) রূপে সংস্কৃত চালু হয় । বাংলায় যেমন রামমোহন গদ্য রূপ দিলেন বাংলা ভাষার । তার আগে সমস্ত বাংলা সাহিত্য পদ্যরূপে পাওয়া যায় । অবশ্য পদ্যে লেখাই ভারতীয় সংস্কৃতি । ওনার আগে কি বাঙালি বাংলায় কথা বলতো না ? তখন নানা স্থানীয় variation এ বলতো । কলকাতার শহুরে বাঙালি  'হুতোম ' -এর ভাষায় বলতো । সাধু বাঙলা চর্চা করতে করতে শহুরে বাঙালির মুখের ভাষাও পরিশিলীত হল । এক ঢাকা - কলকাতাইয়া ভাষার জন্ম হল । গ্রাম বাংলার মানুষ কি এ ভাষায় কথা বলে ? মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, শিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর এমনকি হুগলি- হাওড়া র ( কলকাতার কাছেই ) গ্রামেও নানা শব্দ, নানা অপভ্রংশ, নানা উচ্চারণ ভঙ্গি চলে । কিন্তু সেই মানুষগুলোই লেখার সময় শহুরে ভাষায় লেখে । বিদেশি কেউ বাংলা literature পড়ে কি বুঝতে পারবে এই বৈচিত্র্য ? এভাবেই 3000 বছর আগেও ভারতে কথ্যরূপ ছিল । পালি, প্রাকৃত, মাগধী ইত্যাদি স্থানভেদে নানা নাম ছিল ।...

তৃষ্ণা

।। তণহা = তৃষ্ণা ।। তণহায় জায়তে সোকো তণহায় জায়তে ভয়ং  - তৃষ্ণা থেকেই শোক এবং তৃষ্ণা থেকেই ভয়ের উৎপত্তি । "" ..তসিনং বিনোদয়ে ভিকখু আকঙখী বিরাগমত্তনো"  - হে ভিক্ষু, স্বীয় মুক্তি আকাঙ্ক্ষা করে তৃষ্ণার অপনোদন করো । " অত্তাহি অত্তনো নাথো " -আপনিই আপনার নাথ । গীতাও বলছে - " উদ্ধারেদাত্মনাত্মানং নাত্মানমবসাদয়েৎ আত্মৈবহ্যাত্মনো বন্ধুরাত্মৈব রিপুরাত্মনঃ" - আপনিই আপনার বন্ধু, আপনিই আপনার শত্রু । তাই আত্মাকে অবসন্ন না করে আত্মা দ্বারাই আত্মাকে উদ্ধার করতে হবে । আর বুদ্ধ এও বলছেন, ' বেরিনেসু অবেরিনো' , 'আতুরেসু অনাতুরা', 'উসসুকেসু অনুসসুকা' অর্থাৎ এসো বৈরী দের মধ্যে অবৈরীভাবে, তৃষাতুরদের মাঝে তৃষ্ণা হীন হয়ে, আসক্তদের মাঝে অনাসক্ত হয়ে বাস করি । আর সঙ্গী না পেলে " চরংচে নাধিগচ্ছেয্য সেয্যং সদিসমত্তনো, একচরিয়ং দলহং ...." -- যদি সদৃশ বা উন্নত সাথী না মেলে তবে দৃঢ়তার সাথে একলা চলো রে ।।

অপ্রমাদ

।। অপ্রমাদ /অপ্পমাদ (সৎকর্মে উৎসাহ )।। বুদ্ধ বলছেন,  "'অপ্পমাদো অমতপদং, পমাদো মচ্চুনো পদং  অপ্পমত্তা ন মীয়ন্তী, যে পমত্তা যথামতা " ।। - ধম্মপদ । - অপ্রমাদ অমৃত লাভের পথ, প্রমাদ হল মৃত্যুর । তুলনীয় 'প্রমাদং বৈ মৃত্যুমহং ব্রবীমি তথাপ্রমাদমৃতত্বং ব্রবীমি' । - মহাভারত । উদ্দোগপর্ব ।। সহজ বাংলায় 'পরমাদ' ( fault, carelessness etc) 'ঘটে যদি পরমাদ ' ইত্যাদি । 

বৈরিতা

' ন হি বেরেন বেরানি সম্মন্তীধ কুদাচনং  অবেরেন চ সম্মন্তি এস ধম্মো সনন্তন ।। - ধম্মপদ ।। সূত্র পিটক ।। 'ন হি বৈরেন বৈরানি শাম্যন্তীহ কদাচন  অবৈরেন চ শাম্যন্তি এ ধর্ম সনাতনঃ ।। - সংস্কৃত -- বৈরিতার( শত্রুতা ) দ্বারা বৈরিতাকে জয় করা যায় না । বৈরিতা অশান্ত করে । সাম্য আনে অবৈরিতা । শান্ত করে । এটাই সনাতন ধর্ম ।।

মূল্যবোধ

।। মধ্যবিত্ত মূল্য বোধ ।। অন্ধ্র এর কৃষক ক্ষেতে নজর লাগা থেকে বাঁচতে সানি র ছবি টানিয়েছেন । খবর বলছে, ভালো ফসল হয়েছে । উৎসাহ নাকি আরো কৃষকের মধ্যে ছড়িয়েছে । ভারতীয় সমাজ বড়ই বিচিত্র । দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী মনসা, চন্ডী, শীতলা, সরস্বতীর পূজাও হয় , আর প্রতি মিনিটে কোথাও না কোথাও নারী নির্যাতন । নারীর প্রতি নারীর ( কোথাও শাশুড়ি -বৌমা, কোথাও নারী পাচিরকারি মহিলা ) নির্যাতন ও কম নয় । বড় বিচিত্র এ দেশ । তার মধ্যে বিচিত্র মধ্যবিত্ ত মূল্য বোধ !! শিক্ষিতের মধ্যে অশিক্ষিত কিছু কম নয় । কোথায় আর মুক্ত চিন্তা । স্বার্থে ঘা লাগলে সবাই একেকজন মৌলবাদী । বিচিত্র আমি, আপনি সবাই !! অপরকে আঘাত করে আসলে নিজেকেই ক্ষতিগ্রস্থ করছি , একথা কবে বুঝবো আমরা ? কোথাও নারী -পুরুষ, কোথাও হিন্দু -মুসলিম, কোথাও সিপিএম - বিজেপি, কোথাও বাঙালি -মারোয়াড়ি ইত্যাদি । মানুষ হিসেবে বাঁচব কবে ? ভালো মানুষ, খারাপ মানুষ এই দুটো বিভেদ থাকতে পারে মাত্র ।

আ ত্ম কথা ২

সংযোজনী :  সামান্য দুএকটি কথার জন্য পুনরায় Share করতে হল । সরকারী আমলাগিরি, তার ঠাটবাট এতোই ক্ষণস্থায়ী, আজ আছে কাল নেই, যে আকর্ষণ করে না আর । দেখেছি চাণক্য ই সঠিক  ' স্বদেশে পূজ্যতে রাজা  বিদ্বান সর্বত্র ..." কৃতজ্ঞতা স্বীকারে ভুলে গেছিলাম । তদানীন্তন সংগঠনের secretary হিসেবে শ্যামল আমার একটি প্রবন্ধ ছাপিয়েছিল । মনে রাখব । এছাড়া কিংশুক ( দুজনেই ), সুমিতাদি, দীপকদা এবং অসংখ্য বিভিন্ন স্তরের সহকর্মী উৎসাহ দিয়েছেন । সহকর্মী ছাড়া তাপস খুবই ছড়িয়েছে এই লেখকের নাম Facebook এ। কৃতজ্ঞ থাকব । এছাড়াও অনেক বন্ধুর ভালোবাসা আছে । স্বপনদা, শমীকদার নাম পুস্তকেই স্বীকার করা আছে । মনে রাখবেন বন্ধুরা " বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে। " জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রগুলি সারা দেশে রাজনৈতিক আখড়া হয়ে উঠলেও হীরক রাজার দেশের উদয়ন পণ্ডিতের কথা মনে রাখবেন । পড়াশুনা বন্ধ করবেন না । আসুন আমরা বিদ্বান না হতে পারি, শিক্ষা -প্রেমী তো হতে পারি নিশ্চয়ই ।

আ ত্ম কথা ১

বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চার কথা - 2010 সালে কেঁদে কঁকিয়ে Decipherment of Indus-Srsvti Script ছাপা হল । তার আগে 3 বছর আমারই এক senior colleague , সদ্য IAS হয়ে আমাদেরই দন্ড -মুন্ডের কর্তা হয়ে লেখার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছেন ( সরকারি চাকরিতে অনুমতি লাগে এবং আমার লেখা দেশ ও সরকার বিরোধী নয় ইত্যাদি অনেক প্রমাণ পেশ করে অনুমতি পেয়েছিলাম অবশেষে)।  আনন্দ বাজার পরিস্কার জানিয়েছিল অন্ততঃ 5 হাজার টাকার advt দিলে (আট বছর আগে) বইটির review হতে পারে । Asiatic Society র এক বাম সদস্যা (কম িটির ) পরিস্কার বললেন, আপনি কে মশাই, যে আপনার লেখা পড়তে হবে । কলকাতার HISTORICAL RESEARCH Institute জানালো, একটা Seminar আপনি sponsor করুন, দেখছি । Archeological Survey of India র সর্বভারতীয় Director, বাঙালি (তদানীন্তন ) জানালেন, তারা মতামত দেবেন না ( সব correspondence আছে আমার কাছে )। মজার বিষয় হল, এরা কেউ reject করলো না আমার তত্ত্ব , স্বীকারও নয় । বরং দেশি (বাঙালি নন)-বিদেশি অনেক পন্ডিত ( বি বি লাল ইত্যাদি ) অনেকে উৎসাহিত করলেন ( প্রমাণ আছে )। গলাধাক্কা খেতে খেতে আর দুএকটা ছোটখাটো পত্রিকা য় লিখে জ্ঞান চর্চা চলল । 2...

মহাভারত শ্লোক

অহন্যহনি ভূতানি গচ্ছন্তি যমমন্দিরম্ । শেষাঃ স্থিরত্বমিচ্ছন্তি কিমাশ্চর্য্যমতঃপরম্ ।। - প্রত্যহ শতশত জীব যমালয়ে যাচ্ছে দেখেও আমরা নিজেদের মৃত্যুর কথা ভাবছি না, এটা যুধিষ্ঠির কেন, আমার কাছেও আশ্চর্যজনক । কতো বিবর্তনের মধ্য দিয়ে কতো কর্মফল পার হয়ে এই মানব জনম । অথচ ভোগ এবং আরও আরও ভোগের প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই তো নজরে আসছে না । আর সেই ভোগের উপাচার জোটাতে মিথ্যা, ছলনা ও অনধিকার কার্যাবলী । ক্রমাগত বেশি বেশি প্রারব্ধের সঞ্চয় । আরও বেশি করে কর্মফল ভোগের বন্দোবস্ত ।  এই করতেই কি এসেছিলাম । হে অন্তরতম প্রভূ, সঠিক কর্ম করিয়ে নাও ।

বুদ্ধ দর্শন 11

আর কদিনান্তে  29 এ  বুদ্ধ পূর্ণিমা। এই দিনে জন্ম, বোধিলাভ ও মৃত্যু ঘটে গৌতম বুদ্ধের ।   ব্রহ্ম দেশে  (Myanmar) Sule Pagoda তে 'সূত্র পিটক'  অনুযায়ী 28 জন বুদ্ধের পূজা করা হয় । মহাযান মতের  Sangatha Sutta  (সূত্র ) অনুযায়ী গৌতম  28 তম বুদ্ধ ।  তার  আগে 27 তম বুদ্ধ হলেন কাশ্যপ ।  বুদ্ধ গয়াতে  গৌতম বুদ্ধের অশ্বথ গাছের পাশেই আছে কাশ্যপের বট বৃক্ষ । উনি ওখানেই সিদ্ধ হন ।   সাঁচী তে  7 জন বুদ্ধের ছবি রয়েছে ।  বৌদ্ধ মতে কাল  7 টি কল্পে  বিভক্ত । বর্তমানে  চলছে  'ভদ্র কল্প'।  এই কল্পে  প্রথম বুদ্ধ হলেন 'ক্রকুচ্ছন্দ'। এখন পর্যন্ত শেষ হলেন গৌতম ।    এর আগের কল্প হল 'ব্যূহকল্প'।  তার প্রথম বুদ্ধ হলেন  'Vipassi ' এবং শেষ জন হলেন ' Vessubhu'.   প্রথম কল্পের  প্রথম বুদ্ধ হলেন  ' তনহংকর'।  ইনি তনহা -কে জয় করেছিলেন । পুপ্পাবতী নগরে জন্মগ্রহণ করেন । পিতামাতার নাম সুনন্দ -সুনন্দা । দ্বিতীয় জন  'মেধাংকর '। পিতামাতা সুদেব-যশোধরা । এরূপ  অন্যা...

বুদ্ধ দর্শন ও প্রাসঙ্গিকতা

বুদ্ধ দর্শন   ও প্রাসঙ্গিকতা রজত পাল “ তণহায় জায়তে সোকো   তণহায় জায়তে ভয়ং … তসিনং বনোদয়ে ভিকখু আকাঙ্খী বিরাগমত্তনো ”  প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে অস্থির ভারতবাসীর কা ছে এক যুগপুরুষ ঘোষণা করলেন যে, তৃষ্ণা থেকেই শোক এবং তৃষ্ণা থেকেই ভয়ের উত্‌পত্তি । তাই হে ভিক্ষু, মুক্তি আকাঙ্খা করে তৃষ্ণাকে অপনোদন কারো।     ইনি সিদ্ধার্থ, ইনি গৌতম বুদ্ধ। ইনি যখন জন্ম নিচ্ছেন, ভারত তখন বৈদিক যুগের অন্তিম অধ্যায়। যাগ-যজ্ঞ, বর্ণভেদসহ নানা উপাচারে সাধারন মানুষ ব্যতিব্যস্ত। বৈদিক শাস্ত্রের মূল অনুপান ভুলে গিয়ে শুধু পড়ে আছে রীতি-নীতির নিস্ফল অনুকরণ।  না জেনে বুঝেই নানা দেবদেবীর আরাধনা তথা নিয়মের বন্ধনে আষ্টে - পিষ্ঠে আবদ্ধ জনজীবন । যদিও সাংখ্য দর্শন বা পতঞ্জল যোগদর্শন জ্ঞাত ছিল , তবু তা ছিল সর্বসাধারনের বোধবুদ্ধির বাইরে । জনজীবন ছিল দুঃখ দুর্দশায় জর্জরিত ।       কপিলাবস্তুর রাজপুত্র সিদ্ধার্থ জনসাধারনের জন্য নিয়ে এলেন শান্তির বাণী । তিনি মূলতঃ চারটি কথা বললেন । বললেন যে , ১ । দুঃখ আছে ২ । দুঃখের কারণ আছে ৩ । দুঃখ নিবৃত্তি সম্...