চেতন শক্তি ১

  চেতনা হল আত্মসত্ত্বা। চেতনাবিহীন আমরা জড় পদার্থ। ভগবান, আল্লা, গড, ব্রহ্ম - চতনা ছাড়া এর অস্তিত্ব নেই। জ্ঞানীর নিরাকার চেতনা হল ব্রহ্ম। ভক্তের সাকার চেতনা হল ভগবান।
   চেতনা সকলের মধ্যে আছে। কিন্তু সকলে চেতনার মধ্যে নেই। ব্যাক্তি যখন চেতনাময় হয় সেটি হল তার চৈতন্য অবস্থা।
   সাধারণ অবস্থায় আমরা চেতন জগতকে ছেড়ে জড় জগতকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
  চিন্তাই চেতনার বন্ধনের কারণ।
  যথার্থ পূজা হলে ব্যক্তি নিজ চেতনা থেকে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং সেই জাগ্রত মূর্তিতে পূজা করেন।
  সাধনার উদ্দেশ্য হল চেতনাকে যা ভুলিয়ে রাখে সেগুলিকে অন্তর থেকে সরিয়ে চেতনায় ( যা আমাদের জন্মগত) যুক্ত থাকা।
 চেতনার -
১। অচেতন অবস্থা = মূলাধার চক্র
২। অপচেতন (পশু চেতন) =  স্বাধিষ্ঠান চক্র
৩। অবচেতন অবস্থা = মণিপুর চক্র
                                  প্রথম তিনটি হল বন্ধন বা সীমাবদ্ধ অবস্থা।।
৪। অভিচেতন অবস্থা = অনাহত চক্র
৫। অধিচেতন অবস্থা = বিশুদ্ধ চক্র
৬। সচেতন অবস্থা = আজ্ঞা চক্র
                                  এই তিনটি হল ব্যক্তির মুক্তির অবস্থা।
৭। চেতনার চৈতন্য অবস্থা = সহস্রার চক্র

   চেতনার অচেতন অবস্থা = তমোগুণ
                  অবচেতন অবস্থা = রজোগুণ
                  সচেতন অবস্থা = সত্ত্বগুণ
   চৈতন্য  =  ত্রিগুণাতীত অবস্থা

মন - বুদ্ধি - চিত্ত - অহংকার - আসক্তি
     --- সবই অবচেতনের বিক্ষিপ্ত অবস্থা।

শাস্ত্র পাঠ দ্বারা চেতনা অনুভব হয় না ।
চেতনার অবস্থা অনুসারে শাস্ত্র বোধগম্য হয়।
--- দিব্যবন্ধু


Comments

Popular posts from this blog

কঠোপনিষদ ২০

উপনিষদ পর্ব 1

মহাভারত শ্লোক