Posts

Showing posts from March, 2018

বুদ্ধ ও কর্মফল

।। বুদ্ধ  ও  কর্মফল ।। "  অত্তনাব  কতং পাপং অত্তনা সঙ্কিলিস্সতি অত্তনা অকতং পাপং অত্তনাব বিসুজ্ঝতি । সুদ্ধি অসুদ্ধি পচ্চত্তং নাঞঞো অঞঞং বিসোধয়ে ।। " আত্মনৈব কৃতং পাপং সংক্লিশ্যতি তথাত্মনা আত্মনৈবাকৃতং পাপমাত্মনৈব বিশুদ্ধতি ।।" - নিজকৃত পাপ ক্লেশ এবং অনিজকৃত পাপ বিশোধিত করে । শুদ্ধি অশুদ্ধি নিজের নিজের,  কেউ কাউকে করাতে পারে না ।    যদি কর্ম  আমি আমার তৃষ্ণা থেকে করি,  তাহলে সে কর্মফল ক্লেশ প্রদান করবে । যদি  আমার কৃত কর্ম আমার বর্তমান তৃষ্ণা জাত না হয়,  সে কর্ম আমাকে বিশুদ্ধ করবে ।   আমি  আমার  কর্ম দ্বারা  আবদ্ধ হচ্ছি, না মুক্ত হচ্ছি সেটা আমার হাতে । অন্য কেউ আমাকে যুক্ত বা মুক্ত করতে পারে না ।

নির্বাণ

।। নির্বাণ ।।  'নির্বা' থেকে 'নির্বাপণ ' ও 'নির্বাপিত' হওয়া যেমন প্রদীপ নিভে যাওয়া এমন একটা অর্থে 'নির্বাণ ' শব্দটিকে বোঝার চেষ্টা করেছি আগে ।   কিছুদিন আগে কুলাবধূত  (গ্যাংটক বাবা র ) জির কাছে শুনলাম নিঃ + বাণ = নির্বাণ । অর্থাৎ 'নিভে যাওয়া' অর্থে নয়,  বাণ হতে মুক্ত অবস্থা হল নির্বাণ ।    সাংখ্য গুরু ( কপিল আশ্রম ) হরিহরানন্দ আরণ্য  ' ধম্মপদ ' ( শাস্ত্র আলোচনায় সব শাস্ত্র ই বিবেচ্য )  আলোচনাতে বলছেন,  বাণ হল তৃষ্ণা ।  সেই তৃষ্ণা থেকে মুক্ত অবস্থা হল নির্বাণ ।  এই নির্বাণ  হল  এক অবস্থা।  সব শেষ হয়ে যাওয়া নয় । যা নির্বাপিত হলে হয় । এখন সাধারণ মানুষ আমরা  তৃষ্ণা হীন অবস্থা সঠিক অনুধাবন করতে পারি না ।    বুদ্ধ কোনও ঈশ্বরের কথা বলেননি । অস্বীকার ও করেন নি । কেউ প্রশ্ন করলে নীরব থাকতেন । তাহলে নির্বাণ লাভ হলে কি হবে  ?    হবে দুঃখ হতে মুক্তি । আর যদি কেউ মুক্ত হতে না চায়  ?  তাহলে বারবার এই জীবন সংসারে ভ্রমণ ।   এখন কথা হলো, এই ভ্রমণ শেষ হলে কি হবে  ?   আসুন...

বুদ্ধ উবাচ

বুদ্ধ বলছেন ' ন চাহু ন চ ভবিস্সতি ন চেতরহি বিজ্জতি একন্তং নিন্দিতো পোসো একন্তং বা পসংসিতো । - একান্ত নিন্দিত বা একান্ত প্রশংসিত কোনও পুরুষ অতীতে ছিল না, এখনও নেই,  ভবিষ্যতেও হবে না । তিনি তার শিষ্য অতুলকে বলছেন যে পৃথিবীতে অনিন্দিত কেউ নেই । ' কস্মারো  রজত স্সেব নিদ্ধবে মলমত্তনো । অনুপুব্বেন মেধাবী থোকথোকং খনে খনে ।" - যেমন কর্মকার রজতের  ( আহা , কি দ্যার্থক !!) মল নিষ্কাষণ করে,  মেধাবী  ( হতে পারছি কই  ) তেমনই ক্ষণে ক্ষণে তার মনের মল ক্ষালন করবেন  ( একদিন না একদিন পারতেই হবে বন্ধু  )।     এরপরেই  ধর্মপদ যা বলছেন একই কথা মহাভারত ও বলছে । জানিনা কোনটি আগে । কারণ মহাভারত প্রথমে 24 হাজার শ্লোকে রচিত হয় । পরে যা বর্ধিত হয়ে হয়ে 1 লক্ষ হয় । ' অক্কোধেন জিনে কোধং অসাধুং সাধুনা জিনে জিনে কদরিয়ং দানেন সচ্চেন অলিকবাদিনং।।  -ধম্মপদ    "অক্রোধেন জয়েৎ ক্রোধং অসাধুং সাধুনা জয়েৎ জয়েৎ কদর্যং দানেন জয়েৎ সত্যেন চানৃতং " - উদ্দোগপর্ব,  মহাভারত  - অক্রোধ দ্বারা ক্রোধকে , সাধুতা দ্বারা অসাধুতাকে , দান দ্বারা কৃপনকে...