Posts

Showing posts from December, 2017

চেতন শক্তি ১

  চেতনা হল আত্মসত্ত্বা। চেতনাবিহীন আমরা জড় পদার্থ। ভগবান, আল্লা, গড, ব্রহ্ম - চতনা ছাড়া এর অস্তিত্ব নেই। জ্ঞানীর নিরাকার চেতনা হল ব্রহ্ম। ভক্তের সাকার চেতনা হল ভগবান।    চেতনা সকলের মধ্যে আছে। কিন্তু সকলে চেতনার মধ্যে নেই। ব্যাক্তি যখন চেতনাময় হয় সেটি হল তার চৈতন্য অবস্থা।    সাধারণ অবস্থায় আমরা চেতন জগতকে ছেড়ে জড় জগতকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি।   চিন্তাই চেতনার বন্ধনের কারণ।   যথার্থ পূজা হলে ব্যক্তি নিজ চেতনা থেকে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং সেই জাগ্রত মূর্তিতে পূজা করেন।   সাধনার উদ্দেশ্য হল চেতনাকে যা ভুলিয়ে রাখে সেগুলিকে অন্তর থেকে সরিয়ে চেতনায় ( যা আমাদের জন্মগত) যুক্ত থাকা।  চেতনার - ১। অচেতন অবস্থা = মূলাধার চক্র ২। অপচেতন (পশু চেতন) =  স্বাধিষ্ঠান চক্র ৩। অবচেতন অবস্থা = মণিপুর চক্র                                   প্রথম তিনটি হল বন্ধন বা সীমাবদ্ধ অবস্থা।। ৪। অভিচেতন অবস্থা = অনাহত চক্র ৫। অধিচেতন অবস্থা = বিশুদ্ধ চক্র ৬। সচেতন...

নানা কথা 1

   আমাদের মনে যখন কোনও একটা কিছু পাবার বা করবার ইচ্ছা জাগে তার মূলে আছে সংঘাত। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা ও ত্বক এর সাথে সংঘাত হয় বহির্জগতের শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধের। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুর সাথে মনের সংঘাতে সৃষ্টি হয় ইচ্ছা। কামনা, ভাব ও বিভাব, এই তিন রকমের ইচ্ছা আমাদের প্রকৃত সত্য থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। আমাদের যাবতীয় জাগতিক ইচ্ছাকে চরিতার্থ করবার জন্যই আমাদের বারবার এই পৃথিবীতে আসতে হয় জন্ম নিয়ে।   ইন্দ্রিয়ের সাথে বস্তুর সংঘাতে বেদনার উত্‌পত্তি হয়। জরা, ব্যাধি, মৃত্যুর হাত থেকে পরিত্রাণ পাবার একমাত্র উপায় এই সত্যকে উপলব্ধি করে জন্ম ও কর্মের বাইরে যাওয়া।    তিব্বতে তন্ত্রর মানে হচ্ছে জগত্‌-রহস্য জানা, দেহের রহস্য জানা, জন্ম-মৃত্যুর রহস্য জানা। তন্ত্র মন্ত্র যারা গ্রহণ করে তাদের চার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে সাধনা করতে হয়।   ১ম অধ্যায় হল ক্রিয়া তন্ত্র   ২য় অধ্যায় হল কার্য তন্ত্র   ৩য় অধ্যায় হল যোগ তন্ত্র    ৪র্থ অধ্যায় হল অনুত্তরা যোগতন্ত্র।    ক্রিয়া তন্ত্রের থেকে কার্য তন্ত্রে ধারণা ও ধ্যানের অভ্যাস বেশী করতে হয়। যোগতন্ত্...